Ghaziabad Maid Urine: ময়দার সঙ্গে প্রস্রাব মিশিয়ে রুটি! আট বছর ধরে এটাই খাওয়াত গৃহপরিচারিকা
Ghaziabad Maid Urine: নিতিন গৌতম নামে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তাঁদের পরিবারের সকলে। চিকিৎসা করিয়ে, ওষুধ খেয়ে কোনও কাজ হচ্ছিল না। এরপরই তাদের সন্দেহ হয়েছিল, গৃহপরিচারিকার উপর। গোপনে তার উপর নজর রাখতেই ধরা পড়েছে এই গা ঘিনঘিনে বিষয়।
গাজিয়াবাদ: ময়দায় প্রস্রাব মিশিয়ে তৈরি হত রুটি! গৃহপরিচারিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ এলাকার এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী পরিরারের। নিতিন গৌতম নামে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তাঁদের পরিবারের সকলে। চিকিৎসা করিয়ে, ওষুধ খেয়ে কোনও কাজ হচ্ছিল না। এরপরই তাদের সন্দেহ হয়েছিল, গৃহপরিচারিকার উপর। সে রান্নায় কিছু গন্ডোগোল করছে না তো? গোপনে তার উপর নজর রাখতেই ধরা পড়েছে এই গা ঘিনঘিনে বিষয়।
ওই গৃহপরিচারিকার নাম রীনা। ৩২ বছরের রীনা গত আট বছর ধরে কাজ করত নিতিন গৌতমদের বাড়িতে। তাই প্রাথমিকভাবে তাকে সন্দেহ করার কারণ ছিল না। কিন্তু, লিভারের সমস্যার নিরাময় কিছুতেই না হওয়ায়, রান্নাঘরে রীনার কর্মকাণ্ড গোপনে দেখতে চেয়েছিলেন নিতিনের স্ত্রী রূপম। তাই, রান্নাঘরে একটি মোবাইল ক্যামেরা লুকিয়ে রাখেন। তাতে যে ছবি ধরা পড়ে, তাতে ওই ব্যবসায়ী পরিবারের চক্ষু চড়কগাছ! সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
View this post on Instagram
কী দেখা যাচ্ছে তাতে? দেখা যাচ্ছে রান্নাঘরের দরজা বন্ধ করে একটি পাত্রে প্রস্রাব করছেন রীনা। তারপর সেই প্রস্রাব দিয়েই ময়দা মাখছেন। এরপর ওই প্রামাণ্য ভিডিয়ো দেখিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানায় ওই ব্যবসায়ী পরিবার। তাদের অভিযোগ এবং প্রমাণের ভিত্তিতে, সোমবার পুলিশ এই ঘটনার বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করে। মঙ্গলবার শান্তি নগর কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রীনাকে। তাঁর বিরুদ্ধে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৭২ নম্বর ধারায়, অর্থাৎ, প্রাণহানিকর রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমন গুরুতর কাজ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওয়েভ সিটির এসিপি, লিপি নাগাইচ বলেছেন, “জেরার সময় প্রাথমিকভাবে ওই গৃহপরিচারিকা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে, তাঁকে ভিডিয়োটি দেখানোর পর, তিনি তাঁর অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, ছোটখাটো ভুলের জন্য তাঁকে নিয়মিত তিরস্কার করত ওই পরিবার। তার প্রতিশোধ নিতেই সে এই কাজ করছে।”