রাঁচী: ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে এসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডিকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট।” একইসঙ্গে এই তিন দলের জোটকে ‘মাফিয়াদের গোলাম’ বলেও কটাক্ষ করেন। দুর্নীতি ইস্যুতেও বিরোধীদের আক্রমণ করলেন মোদী।
সোমবার গাড়োয়া জেলায় নির্বাচনী প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির এই সভায় উপচে পড়ে ভিড়। ‘মোদী, মোদী’ স্লোগান দেন সাধারণ মানুষ। আর সেই সভা থেকেই জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির জোটকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তুলোধোনা করেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হেমন্ত সোরেনদের বিরুদ্ধে। এদিন এই নিয়ে মোদী বলেন, “ঝাড়খণ্ডে তুষ্টির রাজনীতি চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করতে ব্যস্ত। ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঝাড়খণ্ডে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে। এটা চলতে থাকলে, এই রাজ্যে আদিবাসী সম্প্রদায় ক্রমশ হারিয়ে যাবে।” এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আদিবাসী সমাজের জন্য এটা আতঙ্কের। এই জোট এখন অনুপ্রবেশকারীদের জোট এবং এরা মাফিয়াদের গোলাম।”
দুর্নীতি ইস্যুতে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদী বলেন, “দুর্নীতি দেশকে ফাঁপা করছে। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি দুর্নীতিতে সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদরা গলা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে। আর এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে গরিব, দলিত, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে।” বিজেপিই রাজ্যের সমৃদ্ধি করতে পারবে বলে ‘গ্যারান্টি’ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে রবিবার ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি জোটকে আক্রমণ করেছিলেন। রাজনৈতিক লাভের জন্য বিরোধীরা অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিজেপি এটা চলতে দেবে না।” এবার একই কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর গলায়।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে মোট ৮১টি আসনে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ১৩ নভেম্বর প্রথম দফা। ও দ্বিতীয় দফা ২০ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডে কারা সরকার গড়বে, তা জানতে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, ওইদিন ভোটগণনা হবে।