Gyanvapi Mosque: মুসলিম পক্ষের আবেদন শোনা হবে ২৬ মে, জ্ঞানব্যাপী মামলার রায় আজও অধরা
Gyanvapi Mosque Row: রায় ঘোষণা হল না জ্ঞানব্যাপী মসজিদ বিতর্ক মামলার। বারাণসী দেলা আদালত ২৬ মে মসজিদ চত্ত্বরে ভিডিয়োগ্রাফিক সমীক্ষা চালানোর বিষয়ে মুসলিম পক্ষের আপত্তির বিষয়টি শুনবে।
বারাণসী: মঙ্গলবারও জ্ঞানব্যাপী মসজিদ বিতর্ক মামলার রায় ঘোষণা করল না বারাণসীর জেলা আদালত। এদিন বারাণসী আদালতের সবথেকে অভিজ্ঞ বিচারক এ কে বিশ্বেশ বলেছেন, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে এমনটাই দাবি হিন্দু পক্ষের আইনজীবীদের। তবে, তার আগে আদালত জ্ঞানব্যাপী মসজিদ চত্ত্বরে ভিডিয়োগ্রাফিক সমীক্ষা চালানোর বিষয়ে মুসলিম পক্ষের আপত্তির বিষয়টি শুনবে। গত সপ্তাহে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ‘মসজিদ চত্বরে ভিডিয়োগ্রাফিক সমীক্ষা অবৈধ’ দাবি করে এই মামলা স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে এদিন আদালত, এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমীক্ষা রিপোর্টের বিষয়ে দুই পক্ষকেই তাদের আপত্তিগুলি হলফনামা আকারে জানাতে বলেছে।
গত শুক্রবারই, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানি নিম্ন আদালত থেকে বারাণসী জেলা আদালতে হস্তান্তরিত করেছিল। শীর্ষ আদালত বলেছিল, মামলার জটিলতা এবং স্পর্শকাতরতা বিচার করে আদালত মনে করছে, অন্তত ২৫ থেকে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনও বিচারকের আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়া উচিত। মসজিদ কমিটির আবেদনের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত আরও বলেছিল, জ্ঞানব্যাপী মসজিদে সমীক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং যে আবেদনের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা হচ্ছে সেই মামলাটির শুনানি আদৌ চালিয়ে যাওয়া যায় কিনা, সেটা বিবেচনা করা বারাণসী জেলা আদালতের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
মুসলিম পক্ষের এক আইনজীবী অভয়নাথ যাদব জানিয়েছেন, এদিন জেলা আদালতে এই সুপ্রিম নির্দেশের কথা উল্লেখ করেই তাঁরা তাঁদের মামলা খারিজের আবেদনটি আগে শোনার অনুমতি চান। তবে, হিন্দু পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুসলিম পক্ষের আবেদনের বিষয়ে আপত্তি জানানোর জন্য তাদের আরও কিছু নথি ও আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। এরপরই জেলা আদালত ২৬ তারিখ এই বিষয়ে শুনানির নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে, হিন্দু পক্ষের এক আইনজীবী মদনমোহন যাদব জানিয়েছেন, তাঁরা নিম্ন আদালত নিযুক্ত কমিশনের রিপোর্ট এবং ভিডিয়োগ্রাফ টি চেয়েছিল। কিন্তু, মুসলিম পক্ষ দাবি করে, ভিডিয়ো সমীক্ষাটি অবৈধ তাই এটি খারিজ করে দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত এই সমীক্ষা রিপোর্টটি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়ার কারণে, কোর্ট কমিশনার অজয় মিশ্রকে সরিয়ে দিয়েছে নিম্ন আদালত।
গত সপ্তাহে বারাণসীর এক নিম্ন আদালতে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী দাবি করেছিলেন সমীক্ষায় মসজিদের ওজুখানায় একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। তবে, মুসলিম পক্ষের পাল্টা দাবি ছিল ওটি শিবলিঙ্গ নয়, একটি ফোয়ারা।