Kashi Viswanath Corridor: নতুন বারাণসীর স্বপ্ন দেখাচ্ছে কাশী-বিশ্বনাথ করিডর, ভোল পাল্টে দিচ্ছেন নমো
PM Narendra Modi: কাশী বিশ্বনাথ করিডরের আগে, ঘাট থেকে মন্দিরে যেতে একাধিক অলি-গলি দিয়ে যেতে হত। কিন্তু নতুন পরিকল্পনায় কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি বিশাল চত্বর সহ নিজস্ব একটি এলাকা থাকবে৷
বারাণসী: কাশী বিশ্বনাথ করিডর আগামী দিনে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের চারপাশের রূপ একেবারে বদলে দেবে। করিডরের আগে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি গঙ্গা থেকে সরাসরি দেখা যেত না। ২০-২৫ ফুট চওড়া এই করিডরটি গঙ্গার ললিতা ঘাটকে মন্দির চকের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ফলে, একজন পূন্যার্থী প্রতিদিন সকালে গঙ্গায় ডুব দিয়ে মন্দিরে শিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। এখন ঘাট থেকে সরাসরি মন্দির দেখা যাবে। কাশী বিশ্বনাথ করিডরের আগে, ঘাট থেকে মন্দিরে যেতে একাধিক অলি-গলি দিয়ে যেতে হত। কিন্তু নতুন পরিকল্পনায় কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি বিশাল চত্বর সহ নিজস্ব একটি এলাকা থাকবে৷
এখানে থাকছে রুদ্রাক্ষ কনভেনশন সেন্টার। প্রায় ১২০০ জনের বসার জায়গা সহ এই কনভেনশন সেন্টারটি দেখতে শিবলিঙ্গের মতো। এর সামনের দিকে ১০৮ টি রুদ্রাক্ষ রয়েছে। মিটিং রুম, আর্ট গ্যালারি এবং বহুমুখী কাজে ব্যবহার করার এলাকা রয়েছে এই কনভেনশ সেন্টারে। এখানে স্থানীয় শিল্পীদের নিজেদের কারুকার্য প্রদর্শনের এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পাবেন।
ঢেলে সাজানো হচ্ছে গোটা এলাকা। গোডোলিয়ায় করা হচ্ছে মাল্টি লেভেল পার্কিং। পঞ্চকোশীতে পূন্যার্থীদের জন্য করা হচ্ছে পরিক্রমা রোড। এছাড়া পর্যটকদের টানতে গঙ্গার উপর রো-রো ভেসেল এবং বারাণসী-গাজিপুর হাইওয়েতে তিন লেনের ফ্লাইওভার করা হচ্ছে। ১৫৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রকল্পে ৪৭ টি গ্রামীণ সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ১১১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। লাহারতারা-চৌকাঘাট ফ্লাইওভার একটি ফুড কোর্ট এবং চারিদিক খোলা ক্যাফে থাকছে।
দুটি রেল ওভারব্রিজ এবং একটি ফ্লাইওভার সহ রিং রোডটি ৫৬ নম্বর জাতীয় সড়ক (লখনৌ-বারানসী), ২৩৩ নম্বর জাতীয় সড়ক (আজমগড়-বারাণসী), ২৯ নম্বর জাতীয় সড়ক (গোরখপুর-বারানসী) এবং অযোধ্যা-বারাণসী হাইওয়ে বারাণসী শহরের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাবে। যার ফলে শহরের যানজট কিছুটা কমে যাবে। ১৬.৫৫ কিমি দীর্ঘ বারাণসী রিং রোডের প্রথম ভাগটি ৭৫৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার খরচে নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ১৭.২৫ কিলোমিটার বাবতপুর-বারাণসী-সড়কের চার-লেনের কাজে ৮১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বারাণসী – প্রয়াগরাজ বিভাগের ৬-লেনের কাজ শুরু হয়েছে, এবং এই কাজের মাধ্যমে বারাণসীর দিকে যাতায়াতকারী গাড়ির যানজট অনেকটাই কমে আসবে।
জোর দেওয়া হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থার দিকেও। গ্রামীণ জল সরবরাহ প্রকল্প এবং পুরানো নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করার কথা বলা হয়েছে। কাশীতে ঘাট এবং নিকাশি পাম্পিং স্টেশনগুলিতে অনলাইন বর্জ্য নিরীক্ষণ ব্যবস্থা এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। মোহন কাটারা কোনিয়া ঘাট এলাকা এবং মুকিমগঞ্জ ও মাছোদারী এলাকাতেও নিকাশি ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। দিনাপুরে প্রতি দিনে ১৪০ মিলিয়ন লিটার কর্মক্ষমতা সম্পন্ন নিকাশি প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে। এটি শহরের উৎপাদিত বর্জ্য থেকে রেহাই দেবে এবং নদীর দূষণকে আরও কমিয়ে দেবে৷
আরও পড়ুন : PM Modi: দেশজুড়ে বিভিন্ন মন্দিরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, সৌজন্যে নরেন্দ্র মোদী