Sukanta Majumdar: ‘আমি তো কৃষক পরিবারের ছেলে… কেউ চিনত না’, কয়েক বছরের মধ্যেই সাংসদ থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন সুকান্ত
Sukanta Majumdar: ২০১৯-এ প্রথমবার সাংসদ হন সুকান্ত। সেই থেকে শুরু রাজনৈতিক জীবন। আর এই কয়েক বছরের মধ্যেই রাজ্য সভাপতি করার পাশাপাশি এবার মন্ত্রীও করা হচ্ছে তাঁকে। এই খবর শুনে সুকান্ত বলেন, "নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডাকে ধন্য়বাদ।"
নয়া দিল্লি: রাজ্য সভাপতি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ভোটে জিতে বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বার সাংসদ হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। আর এবার তিনি পেতে পারেন মন্ত্রিত্ব। দিল্লিতে কান পাতলে এমনই শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, পূর্ণমন্ত্রী না হলেও প্রতিমন্ত্রী হতে পারে সুকান্ত মজুমদার। কোনও মন্ত্রকে দায়িত্ব পাবেন তিনি, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। নাতিদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পরপর এত কিছু পেয়ে আপ্লুত সুকান্ত। TV9 বাংলায় প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯-এ প্রথমবার সাংসদ হন সুকান্ত। সেই থেকে শুরু রাজনৈতিক জীবন। আর এই কয়েক বছরের মধ্যেই রাজ্য সভাপতি করার পাশাপাশি এবার মন্ত্রীও করা হচ্ছে তাঁকে। এই খবর শুনে সুকান্ত বলেন, “নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডাকে ধন্য়বাদ। এত তাড়াতাড়ি আমার মতো একজন সাধারণ কার্যকর্তাকে এত কিছু দিয়েছেন। আমি সাধারণ একজন মানুষ। আমাকে কেউ চিনতেন না। আমার পরিবারে আমিই সবথেকে বেশি পড়াশোনা করেছি।” তিনি আরও বলেন, “কৃষক পরিবারের ছেলে আমি। আমার ঠাকুরদা চাষ করতেন। সেইভাবে কেউ কোনওদিন রাজনীতি করেননি। গ্রামের মানুষ ছিলেন পরিবারের সবাই। বাবা ছিলেন চাকরজীবী, নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবার।”
১৯৯৮ থেকে আরএসএসের সঙ্গে যোগাযোগ হয় সুকান্তর। তারপর থেকে ‘স্বয়ংসেবক’ তিনি। সুকান্ত জানান, বাড়িতে মন্ত্রী হওয়ার খবর জানালেও বালুরঘাট দুর্গম এলাকা হওয়ায় পরিবারের কেউ দিল্লি পৌঁছতে পারেননি। মন্ত্রী হলে কি তবে বালুরঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বাড়াবেন? সুকান্ত বলেন, “দিল্লি যাওয়ার ট্রেন চালু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আমি বলে দিচ্ছি, রাজ্য সরকারের তরফে যদি ৫০ শতাংশ সহযোগিতা পাই, তাহলে বালুরঘাট থেকে বিমানও ওড়াব।” তবে মন্ত্রী হলে রাজ্য সভাপতি পদ থাকবে কি না, তা স্পষ্ট করেননি সুকান্ত মজুমদার।