Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Navy: সারা বিশ্ব দেখল হাঁ করে, আরব সাগরে একসঙ্গে নৌসেনার ৮ সাবমেরিনের দাপট!

Indian Navy: সোমবার (২৫ মার্চ), নৌসেনার ওয়েস্টার্ন নাভাল কমান্ড জানিয়েছে, ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জে সিং এই মহড়ার পর্যালোচনা করেন। পেশাদারিত্ব এবং দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের জন্য আট সাবমেরিনের এই দলের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

Indian Navy: সারা বিশ্ব দেখল হাঁ করে, আরব সাগরে একসঙ্গে নৌসেনার ৮ সাবমেরিনের দাপট!
আরব সাগরে একসঙ্গে ভারতীয় নৌসেনার আট-আটটি সাবমেরিন Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 27, 2024 | 8:45 AM

নয়া দিল্লি: পশ্চিম এশিয়ায় এডেন উপসাগর অঞ্চলে গত কয়েকদিনে একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজকে হুথি বিদ্রোহী ও সোনালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করেছে ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনার দু-দুটি রণতরী এখন অবস্থান করছে এই অঞ্চলে। এরইমধ্যে ভারতের পশ্চিম উপকূল বরাবর, আরব সাগরে একসঙ্গে দাপট দেখাল নৌসেনার আট-আটটি সাবমেরিন। এটা ছিল নৌসেনার এক মহড়া। আর এই মহড়াতেই সারা বিশ্ব হাঁ করে দেখল, জলে, যে কোনও অভিযানের জন্য ভারতীয় নৌসেনা ঠিক কতটা তৈরি। সোমবার (২৫ মার্চ), নৌসেনার ওয়েস্টার্ন নাভাল কমান্ড জানিয়েছে, ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জে সিং এই মহড়ার পর্যালোচনা করেন। পেশাদারিত্ব এবং দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের জন্য আট সাবমেরিনের এই দলের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েস্টার্ন নাভাল কমান্ড লিখেছে, “এই প্রদর্শনের অংশ হিসাবে, ভাইস-অ্যাডমিরাল সাবমেরিনের সমুদ্রের নীচে নামা প্রত্যক্ষ করেছেন এবং সাবমেরিনারদের ঐতিহ্য অনুযায়ী সমুদ্রের জলের স্বাদ নিয়েছেন।”

তবে, এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিন আর্মের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং ক্ষমতার পার্থক্যের বিষয়টিও। ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে এখন ১৬টি অপারেশনাল সাবমেরিন রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন এবং দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন। সাবমেরিনগুলির মধ্যে রয়েছে পাঁচটি স্কর্পেন ক্লাস বা কালভারী ক্লাস (ফরাসি), চারটি এইচডিডব্লিউ (জার্মান) এবং সাতটি কিলো-শ্রেণির (রাশিয়ান) সাবমেরিন। এর পাশাপাশি, চিনা নৌবাহিনীর সাবমেরিন ফোর্সে, ৭৬টি সাবমেরিন রয়েছে। যার মধ্যে ৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন, ১৩টি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং ৫৫টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন রয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেভাবে চিনা জলযানের দাপট বাড়ছে, তাতে খুব শিগগিরই সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়াতে হবে ভারতী নৌসেনাকে।

এদিকে গত শনিবার, এডেন উপসাগর, আরব সাগর এবং লোহিত সাগরে অ্যান্টি-ড্রোন, অ্যান্টি-মিসাইল এবং জলদস্যু বিরোধী অভিযানের নৌসেনার একশো দিন পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন নৌসেনা প্রধান, অ্যাডমিরাল হরি কুমার। তিনি জানান, নৌবাহিনী এই ধরনের ঘটনাগুলি প্রতিরোধে ইতিবাচক পদক্ষেপ করে যাবে। নৌসেনা প্রধান বলেন, “এই অঞ্চলের বিবাদ থেকে লাভের গুড় খেতে চায় জলদস্যুরা। এটা একটা শিল্প হিসাবে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। আমরা এর প্রতিরোধে ইতিবাচক পদক্ষেপ করব। সমুদ্রে অভিযান সংক্ষিপ্ত এবং দ্রুত হয়, ‘অপারেশন সংকল্প’ এই মিথ ভেঙে দিয়েছে। মহাসাগরে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে টেকসই অভিযানের উপর জোর দিয়েছে। আমাদের ১১টি সাবমেরিন এবং ৩০টি রণতরী সমুদ্রের বিভিন্ন অংশে কাজ করছে। আগ্রহের সব ক্ষেত্রগুলিতে আমরা সুরক্ষা দিচ্ছি।”