AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Railways: বিদেশের মতো আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে ভারতের হাতেও, তবে কোন খামতিতে বারংবার রেল দুর্ঘটনা?

Train Accident: বিদেশে দুর্ঘটনা এড়াতে ব্যবহার করা হয় ট্রেন প্রোটেকশন ওয়ার্নিং সিস্টেম এবং ইউরোপিয়ান ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম। বিভিন্ন দেশে এই সিস্টেম ব্যবহার করে ৪০টিরও বেশি ট্রেন সংস্থা।

Indian Railways: বিদেশের মতো আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে ভারতের হাতেও, তবে কোন খামতিতে বারংবার রেল দুর্ঘটনা?
ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2023 | 11:12 AM
Share

নয়া দিল্লি: একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আর সেটা ঘিরেই হাজারো প্রশ্ন। গত ২ জুন, শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে বাহানগা রেল স্টেশনের কিছুটা আগেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেল ট্রাকে পয়েন্টের গরমিলে মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই লাইনেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। চালক মালগাড়ি দেখেই ব্রেক কষেন, কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছে। সজোরে মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ধাক্কা খেয়ে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সহ বেশ কয়েকটি কামরা। লাইনচ্যুত হয় ২১টি কামরা। লাইনচ্যুত হওয়া সেই কামরাতেই আবার ধাক্কা মারে ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শুক্রবারের এই দুর্ঘটনাকে বিগত ২০ বছরের অন্যতম ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে, অত্য়াধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল?

ট্রেনের দুর্ঘটনা রুখতেই গত বছর কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের তরফে আনা হয়েছিল, অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম ‘কবচ’। একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসলে বা সিগনাল বিভ্রাটের কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকলে, তা রুখতে সক্ষম ‘কবচ’। জিপিএস ও জিপিআরএসের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েই ট্রেনের গতিবিধির রিয়েল টাইম তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিল না কবচ সিস্টেম।

বিদেশের সঙ্গে তফাত কোথায়?   

বিদেশে দুর্ঘটনা এড়াতে ব্যবহার করা হয় ট্রেন প্রোটেকশন ওয়ার্নিং সিস্টেম এবং ইউরোপিয়ান ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম। বিভিন্ন দেশে এই সিস্টেম ব্যবহার করে ৪০টিরও বেশি ট্রেন সংস্থা। এই সিস্টেমের ফলে মুখোমুখি সংঘর্ষ , সিগনাল বিভ্রাট বা লাইনচ্যুত হওয়ার আগেই স্বয়ংক্রিয় ব্রেক কাজ করে। ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। পাশাপাশি রেডিয়ো প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রেন ও ট্রাকের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ ব্যবস্থাও দুর্ঘটনা কমায়। লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য উপগ্রহকেও কাজে লাগানো হয়।

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে ট্রেনের চালকদের নিজে থেকে কিছু করার নেই। সিগনাল অনুযায়ী ট্রেনের গতিপথ, গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। চালকরা গতিও নিয়ন্ত্রণ করে না।  কিন্তু সমস্য়াটা অন্য় জায়গায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় রেলওয়েতেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্য়বহার করা হলেও, সেই প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, তা জানেন না অধিকাংশ কর্মীই। তাদের প্রশিক্ষণের কোনও ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না। দিন-প্রতিদিন নিত্য়নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করা হলেও, কাজের চাপ সামাল দেওয়ার জন্য রেলকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না।