চেয়ার থেকে উঠেই এমন কী কথা বললেন জয়া বচ্চন, হাসিতে ফেটে পড়লেন জগদীপ ধনখড়, ভাইরাল সেই VIDEO

Jaya Bachchan: এদিন ধনখড়ের হাসি দেখে হাসিতে ফেটে পড়ে গোটা কক্ষ। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ, আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডাও হেসে ওঠেন। হালকা মেজাজেই জয়ার প্রশ্নের উত্তরও দেন ধনখড়।

চেয়ার থেকে উঠেই এমন কী কথা বললেন জয়া বচ্চন, হাসিতে ফেটে পড়লেন জগদীপ ধনখড়, ভাইরাল সেই VIDEO
কেন এত হাসি ধনখড়েরImage Credit source: twitter
Follow Us:
| Updated on: Aug 03, 2024 | 11:18 AM

নয়া দিল্লি: রাজ্যসভায় বারবারই মেজাজ হারাতে দেখা যায় জয়া বচ্চনকে। অতি সম্প্রতি নিজের নাম শুনেও চটে গিয়েছিলেন অমিতাভ-পত্নী। কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্য়ে এসেছে। সেখানে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং তাঁকে ‘জয়া অমিতাভ বচ্চন’ বলে সম্বোধন করতেই রেগে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার দেখা গেল উল্টো ছবি। সাংসদ জয়া বচ্চন সংসদ কক্ষে এমন কথা বললেন যে হেসেই গড়িয়ে পড়লেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।

ধনখড়ের হাসি দেখে হাসিতে ফেটে পড়ে গোটা কক্ষ। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ, আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডাও হেসে ওঠেন। হালকা মেজাজেই জয়ার প্রশ্নের উত্তরও দেন ধনখড়।

শুক্রবার সংসদ কক্ষে বক্তব্য রাখতে উঠেই জয়া বলেন, ‘আমি জয়া অমিতাভ বচ্চন আপনাকে প্রশ্ন করছি…’। এ কথা বলে মাথা নীচু করে নিজেই হেসে ফেলেন জয়া। আর এ কথা শুনেই টেবিলে হাত রেখে হাসিতে ফেটে পড়েন ধনখড়।

সংসদ কক্ষে হাসির রোল থামতে জয়া প্রশ্ন করেন, আপনি আজ লাঞ্চ ব্রেক পেয়েছেন? উত্তরে ধনখড় বলেন, না। তখন জয়া বচ্চন বলেন, এই জন্যই আপনি বারবার জয়রাম রমেশের নাম নিচ্ছেন। ওঁর নাম না নিলে তো আপনার খাবারই হজম হয় না। এ কথা শুনে ধনখড় বলেন, ‘আমি আপনাকে একটা কথা বলি… আমি আজ লাঞ্চ ব্রেক পাইনি, তবে আজ আমি জয়রাম রমেশের সঙ্গেই মধ্যাহ্নভোজ সেরেছি।’ শুধু তাই নয়, সংসদ কক্ষেই ধনখড় বলেন, ‘আমি তো আপনার আর অমিতাভজির ফ্যান।’

গত ২৯ জুন জয়াকে ‘জয়া অমিতাভ বচ্চন’ সম্বোধন করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সাংসদ। তিনি বলে উঠেছিলেন, ‘স্যার, শুধু জয়া বচ্চন বললেই যথেষ্ট ছিল।’ ডেপুটি চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, খাতায়-কলমে যা নাম আছে, সেটাই শুধু পড়েছিলেন তিনি। তবে জয়া বচ্চনের বক্তব্য ছিল, মহিলারা কেন স্বামীর নামে পরিচিত হবেন, মহিলাদের কি নিজস্ব কোনও অস্তিত্ব নেই?

অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন জয়া বচ্চন। ২০০৪ সালে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। মহিলাদের অধিকার ও সমাজ ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে সংসদে একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি।