RG Kar Case: ৯০ ডিগ্রিতে পা ঘোরানো কীভাবে, ৪ ডিগ্রিতে সংরক্ষণ হল না ভ্যাজাইনাল সোয়াব, ময়নাতদন্ত নিয়ে উঠল প্রশ্ন
Supreme Court: প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালার বেঞ্চে হল আরজি কর মামলার শুনানি। এদিন এফআইআর নিয়ে আবারও উঠেছে প্রশ্ন।
নয়া দিল্লি: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে একের পর এক প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কী অবস্থায় পাওয়া গেল মৃতদেহ, প্রশ্ন উঠেছে মৃত্যুর কতক্ষণ পর জানানো হল থানায়, কতক্ষণ পর হল এফআইআর। এবার ময়নাতদন্ত নিয়ে বিস্ফোরক প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। সোমবারের শুনানিতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ময়নাতদন্তের পদ্ধতি নিয়ে।
সওয়াল জবাব চলাকালীন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, মৃতদেহ যখন উদ্ধার হয়, তখন পা ঘোরানো ছিল ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। পশ্চাৎদেশ ভাঙা না হলে, পা এভাবে ঘোরানো সম্ভব নয়। ফরেনসিক রিপোর্টের সঙ্গে এক্স রে রিপোর্ট দেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আইনজীবীর দাবি, নির্যাতিতার ভ্যাজাইনাল সোয়াব ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তাই প্রমাণ লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
আইনজীবীর অভিযোগ, মৃত্যুর দীর্ঘক্ষণ পর এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা আমি আমাক ২৭ বছরের কেরিয়ারে দেখিনি। প্রমাণ সংগ্রহ করার এতক্ষণ পর এফআইআর কেন হল? FIR- চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’ এফআইআর চাপার চেষ্টা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন আইনজীবী। মৃত্যুর পর এফআইআর দায়ের করতে যে ১৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছে, সেটা স্পষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
আইনজীবী আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “ভিডিয়োগ্রাফ কে করল? তাঁর কী পদ? কারা উপস্থিত ছিলেন ময়নাতদন্তের সময়?” এদিকে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচ ঘন্টা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময় অসংখ্য লোককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিন পর যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি তখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।’