AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dawood Ibrahim: ফিরে এল দাউদ? তল্লাশি অভিযান, ১০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার! উঠে এল ডি-কোম্পানির নাম

Dawood Ibrahim: গত ১৬ই অগস্ট ডিরেক্টরেট রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের একটি গোয়েন্দা দল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অবস্থিত একটি গ্রাম, জগদীশপুরার ওই বাড়িতে অভিযান তল্লাশি চালায়। সেই অভিযানেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর ছবি।

Dawood Ibrahim: ফিরে এল দাউদ? তল্লাশি অভিযান, ১০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার! উঠে এল ডি-কোম্পানির নাম
দাউদ ইব্রাহিম (ফাইল ছবি)Image Credit: X
| Updated on: Aug 24, 2025 | 1:44 AM
Share

ভোপাল: গেটের বাইরে লেখা হাউস নম্বর ১১। বাইরে থেকে দেখলে মনেই হবে না যে এটা কোনও সাধারণ বাড়ি নয়। যেমনটা মনে হয়নি, সেখানে অভিযান চালাতে যাওয়া তদন্তকারীদেরও। গেট ভেঙে যখন তারা ভিতরে ঢুকল, তাদের চোখ উঠল কপালে। মিলল কয়েকশ কেজি রাসায়নিক এবং এমন এক মাদক, যার বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

কিন্তু এই চক্রান্তের নেপথ্যে কারা রয়েছে? এত বড় অঙ্কের মাদক চক্র তো কোনও সাধারণ দুষ্কৃতীর কাজ নয়।  সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি – র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৬ই অগস্ট ডিরেক্টরেট রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের একটি গোয়েন্দা দল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অবস্থিত একটি গ্রাম, জগদীশপুরার ওই বাড়িতে অভিযান তল্লাশি চালায়। সেই অভিযানেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর ছবি। দেখা যায়, বাড়ির মধ্যে গড়ে উঠেছে একটি মাদক কারখানা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬০ কেজি লিক্যুইড মেফেড্রোন নামক একটি মাদক উদ্ধার হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯২ কোটি টাকা। উদ্ধার হয়েছে ৫৪১ কেজি মাদক তৈরির প্রয়োজনীয় রাসায়নিকও।

কিন্তু এই কাজ কাদের? অভিযুক্তরা বলছে, ডি-কোম্পানির। সেই ডি-কোম্পানি, যার মূলে রয়েছে ভারতের ‘আন্ডার ওয়ার্ল্ড কিং’ দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বই হামলার সঙ্গে জড়িত এই কুখ্যাত মাফিয়া এখন কোথায় রয়েছে, আদৌ বেঁচে রয়েছে কিনা সেই উত্তর কারওর কাছে নেই। তা হলে কীভাবে এই একটা অভিযানের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গেল দাউদের? তবে কি আবার ভারতে ফিরে এল সে? শুরু করে দিল নিজের মাদক চক্র?

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই উঠে এসেছে এই দাউদ সংস্থার যোগের কথা। মধ্যপ্রদেশের ওই মাদক কারখানা যে খুব একটা ঝাঁ চকচকে এমনটা নয়। বছর কয়েক ধরেই পরিত্যক্ত। আর তার ভিতরেই রাখা বেশ কয়েকটি রাসায়নিক প্রস্তুতকারক মেশিন। যা দিয়ে তৈরি মাদক মধ্যপ্রদেশ হয়ে ছড়িয়ে পড়ার কথা ছিল গোটা দেশে। তদন্তকারীরা বলছেন, এই ১০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হিমশৈলের চূড়া মাত্র। বাকি অংশ এখনও অতল গভীরে। যা প্রশ্ন তুলে দিয়ে যাচ্ছে, তবে কি দাউদ আবার ফিরে এল?