Firing: দেখা করতে এসে প্রেমিকার বাবার গুলিতে প্রাণ গেল প্রেমিকের, গুলিতে আহত প্রেমিকাও

Man fire daughter: পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে গুলি করে খুন করায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুনীল মিশ্র। তিনি বুধবার নৈনি থানায় ফোন করে জানান, ২ জনের গুলিতে আহত হয়ে পড়ে রয়েছে এবং একটি পিস্তল পাশে পড়ে রয়েছে।

Firing: দেখা করতে এসে প্রেমিকার বাবার গুলিতে প্রাণ গেল প্রেমিকের, গুলিতে আহত প্রেমিকাও
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 7:30 PM

লখনউ: মেয়ে প্রেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন সহপাঠী যুবকের সঙ্গে। তা পছন্দ ছিল না মেয়েটির বাবার। তিনি লুকিয়ে দেখা করতে আসেন মেয়েটির সঙ্গে। তা দেখে ফেলেন মেয়েটির বাবা। তখনই লাইসেন্স বন্দুক দিয়ে গুলি করেন মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে। যদিও পুলিশের কাছে তা স্বীকার করেননি মেয়েটির বাবা। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিক তাঁর বন্দুক নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি দেখতে পেয়ে খবর দিয়েছেন পুলিশকে। যদিও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় খুনের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত বাবা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের নৈনি থানা এলাকার চক হীরানন্দ এলাকায়।

পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে গুলি করে খুন করায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুনীল মিশ্র। তিনি বুধবার নৈনি থানায় ফোন করে জানান, ২ জনের গুলিতে আহত হয়ে পড়ে রয়েছে এবং একটি পিস্তল পাশে পড়ে রয়েছে। ২ জন আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি।

ঘটনা নিয়ে পুলিশ অফিসার সৌরভ দিক্ষীত বলেছেন, “সুনীল মিশ্রের থেকে বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ফোন পায় আমরা। তিনি বলেন তাঁর মেয়ে ও অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক তাঁর বাড়ির ছাদে পড়ে রয়েছে। তাঁদের শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে।” মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর দ্রুত চিকিৎসা দরকার বলেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল ফরেন্সিক দলের সদস্যরাও। সেখান থেকে ২ জনকে উদ্ধার করে এসআরএন হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানে মেয়েটির প্রেমিককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর নাম অরুনাভ সিংহ (১৯)। তিনি নৈনি এলাকারই বাসিন্দা। তবে সুনীলের মেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুলির আঘাতে তাঁর বেশ কয়েকটি অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেনর চিকিৎসকেরা।

এর পর সুনীলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র  বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুনীল প্রথমে মিথ্যা বললেও পরে সত্যি স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, মেয়েটি ও ছেলেটি সহপাঠী ছিল। বুধবার ভোরে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল ছেলেটি। তাঁদেরকে এক সঙ্গে দেখেই মেজাজ হারান তিনি। তার পর নিজের বন্দুক থেকে গুলি মারেন। তাতেই মৃত্যু হয়েছে ছেলেটির এবং তাঁর নিজের মেয়েও গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলেটি একাদশ শ্রেণিতে ফেল করেছে।