Manipur Violence: সুপ্রিম কোর্টে মণিপুর নিয়ে রিপোর্ট, কী বলল মহিলা বিচারপতিদের কমিটি?
All-woman committee submit report: সোমবার (২১ অগস্ট), শীর্ষ আদালতে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে এই কমিটি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে, এদিন এই কমিটি তিনটি পৃথক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: হিংসাধ্বস্ত মণিপুরে ত্রাণ প্রদান, পুনর্বাসনের মতো মানবিক কাজকর্মগুলি দেখভালের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তলের নেতৃত্বে তিন অবসরপ্রাপ্ত মহিলা বিচারপতির এক কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার (২১ অগস্ট), শীর্ষ আদালতে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে এই কমিটি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে, এদিন এই কমিটি তিনটি পৃথক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, বিচারপতি গীতা মিততালের নেতৃত্বাধীন কমিটির জমা দেওয়া প্রথম রিপোর্টটি, হিংসার সময় মণিপুরের নাগরিকদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বহু মানুষের পরিচয় সংক্রান্ত নথি-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথি খোয়া গিয়েছে। অবিলম্বে আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের মতো প্রয়োজনীয় নথিগুলি ফের জারি করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই কাজে নাগরিকদের সহায়তার জন্য এক নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় রিপোর্টটি মণিপুরের হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ প্রদান বিষয়ক। জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বা নালসা (NALSA)-র প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, মণিপুরবাসীদের ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে, এই প্রকল্পের একটি ‘আপগ্রেড’ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কমিটি। অন্য কোনও প্রকল্পের অধীনে কোনও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পেলে, তাঁকে মণিপুরের ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তৃতীয় রিপোর্টে, এই মামলার কার্যক্রমের প্রশাসনিক দিকগুলি দেখার জন্য, একজন নোডাল প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন বলে, জানানো হয়েছে।
এই তিন রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এদিন আদালত জানিয়েছে, এই কমিটিকে প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান, অর্থ বরাদ্দ এবং কমিটির কাজ প্রচারের জন্য কিছু পদ্ধতিগত নির্দেশাবলীর প্রয়োজন। আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী একত্রিত করে বৃহস্পতিবার (২৪ অগস্ট) রাত ১০টার মধ্যে মণিপুরের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে ভাগ করার দায়িত্ব দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ অগস্ট। চলতি মাসের শুরুতে, মণিপুর হিংসা নিয়ে একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ১ অগস্টের শুনানিতে, মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য মণিপুর সরকার এবং রাজ্য পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল আদালত।