Meghalaya Murder: রাজের জন্য রাজাকে খুন! মেঘালয় হানিমুন-কাণ্ডে প্রকাশ্য়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
Meghalaya Murder: অসমে না গিয়ে ২১ মে তারা তাদের পরিবারকে ফোন করে জানায় যে মেঘালয় ঘুরতে যাচ্ছে তারা। এর ঠিক দু'দিন পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় এই দম্পত্তি। ১০ দিন পরে, ২ জুন রাজার পচাগলা দেহ মেলে খাদ থেকে। আর সোমবার উত্তর প্রদেশে এসে আত্মসমর্পণ করে সোনম।

শিলং: মেঘালয়ে রহস্যের মেঘ। যা কাটাতে কালঘাম ছুটল পুলিশের। হানিমুনে গিয়ে খুন স্বামী রাজা রাজবংশী। আর খুন কে করল? স্ত্রী সোনম রাজবংশী। ঘটনার ১০ দিন পর প্রকাশ্যে সেই তথ্য। সোনম নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। তারপরেই নতুন করে গতি পেয়েছে মেঘালয় খুনের তদন্ত।
এদিন সেই খুনের ঘটনাতেই প্রকাশ্য়ে এল রাজের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ইন্ডিয়ার টুডের একটি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজা হত্যাকাণ্ডে ময়নতদন্ত রিপোর্টেই রয়েছে বড় প্রমাণ। তার মাথার পিছনে ও সামনে রয়েছে বড় বড় ক্ষত। রয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাত। তাকে যে ভয়াবহ ভাবে খুন করা হয়েছে, সেই তথ্যই তুলে ধরছে এই রিপোর্টটি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিয়ের পর হানিমুনে অসমে যাওয়ার কথা ছিল সোনম ও রাজের। কিন্তু সেই হানিমুনের প্ল্যান একেবারে বদলে দেয় সোনম। অসমে না গিয়ে ২১ মে তারা তাদের পরিবারকে ফোন করে জানায় যে মেঘালয় ঘুরতে যাচ্ছে তারা। এর ঠিক দু’দিন পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় এই দম্পত্তি। ১০ দিন পরে, ২ জুন রাজার পচাগলা দেহ মেলে খাদ থেকে। আর সোমবার উত্তর প্রদেশে এসে আত্মসমর্পণ করে সোনম।
কিন্তু কেন খুন হন রাজা?
পুলিশি জেরায় সোনম জানিয়েছেন, অফিসেরই এক জুনিয়রের সঙ্গে প্রেম রয়েছে তার। যার নাম রাজ কুশওয়াহা। তাই ওই রাজের জন্য স্বামী রাজাকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সোনম। এমনকি, তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষেই এই হত্যাকাণ্ড রচনাা করেছিলেন সোনম।

