New parliament building: নতুন সংসদের নাম কি আর ‘সংসদ’ থাকছে না?
New parliament building: নতুন সংসদ ভবনটির তিনটি প্রবেশদ্বারের ভিন্ন ভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একইভাবে খোদ নতুন ভবনটিরও নতুন একটা নাম দেওয়া হতে পারে। 'সংসদ ভবন'-এর বদলে, অন্য কোনও নামে পরিচিত হতে পারে ভারতীয় গণতন্ত্রের নতুন মন্দিরটি।
নয়া দিল্লি: রবিবারই দেশ পাচ্ছে নতুন সংসদ ভবন। নতুন ভবনটিতে বেশ কিছু নতুন বৈশিষ্ট রয়েছে। যেমন মহাত্মা গান্ধী, বিআর আম্বেদকর, বল্লভভাই প্যাটেল, চাণক্যের মতো ভারতের বিভিন্ন সময়ের বিশিষ্ট নেতাদের গ্রানাইটের মূর্তি থাকবে। এছাড়া, এই ভবনটির তিনটি প্রবেশদ্বার থাকবে। সেগুলির ভিন্ন ভিন্ন নামও দেওয়া হয়েছে – জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার এবং কর্ম দ্বার। আগের ভবনটির প্রবেশদ্বারগুলি সংখ্যা দিয়ে পরিচিত ছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একইভাবে খোদ নতুন ভবনটিরও নতুন একটা নাম দেওয়া হতে পারে। আগের মতো শুধুমাত্র ‘সংসদ ভবন’-এর বদলে, অন্য কোনও নামে পরিচিত হতে পারে ভারতীয় গণতন্ত্রের নতুন মন্দিরটি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে মোদী সরকার ঔপনিবেশিক চিহ্ন দূর করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের রাস্তাটির নাম ‘রাজপথ’ থেকে বদলে ‘কর্তব্যপথ’ রেখেছে।
একই সঙ্গে, পুরনো সংসদ ভবনে যেমন সভার কার্যক্রমের লাইভ টেলিকাস্ট চলাকালীন, বিরোধী সাংসদদের মাঝে মাঝেই পোস্টার ব্যানার নিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতেন, নয়া ভবনে সেই দৃশ্য নাও দেখা যেতে পারে। কারণ, নয়া ভবনে ওয়েলটি আসনের প্রথম সারির থেকে অন্তত একফুট নীচে থাকছে। তাই, সেখানকার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়বে না। প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের সংসদ পরিচলনার নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, সভার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টিকারী কোনও বিক্ষোভ বা কর্মকাণ্ডের উপর ক্যামেরা ফোকাস কর হবে না। তবে, ২০০৫ সালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় লোকসভার অধ্যক্ষ থাকার সময় জানিয়েছিলেন, সংসদ কক্ষে হওয়া প্রতিবাদ এবং ওয়াকাউটের মতো ঘটনাও ক্যামেরাবন্দি হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে দুই কক্ষেই অধ্যক্ষদের আসনগুলি আগের তুলনায় বেশ উঁচুতে রাখা হচ্ছে। ফলে, অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছুড়ে মারার মতো ঘটনাও ঘটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এই সকল নতুন বৈশিষ্টের সঙ্গেই নতুন ভবনটির একটি নতুন নাম দেওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন ভবনটির উদ্বোধনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সেরে ফেলা হয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার যাতে কোনও গাফিলতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে নয়া সংসদ ভবনে একপ্রস্থ মক ড্রিলও করা হয়েছে। নয়া ভবনটিতে কাজ শুরু হলেই পুরনো সংসদ ভবনটির সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। নতুন ভবনটির পাশাপাশি পুরনো ভবনটিও সংস্কারের পর কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা হবে। ঠিক কী কী কাজে পুরোনো ভবনটিকে ব্যবহার করা হবে সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্টতা এখনও পর্যন্ত নেই। তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, পুরোনো ভবনটিকে ‘গণতন্ত্রের যাদুঘরে’ পরিণত করা হবে। ‘যাদুঘর’ হিসেবে ভবনটির দরজা খোলার পর, সাধারণ মানুষ পুরোনো লোকসভা কক্ষের আসনে বসার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। তবে পুরোনো ভবন নয়, যাবতীয় আগ্রহের কেন্দ্রে এখন নতুন সংসদ ভবনটিই। সেটির কী নাম দেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার।