করোনার ধাক্কায় বিশ্ববাজারে কমছে পেট্রল-ডিজেলের দাম, দেশে ২০ দিন ধরে অপরিবর্তিতই দাম
ইউরোপ (Europe) জুড়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় লকডাউন(Lockdown)-র জেরে বিশ্ববাজারে ক্রমাগত পেট্রল-ডিজেলের দাম (Petrol-Diesel Price) কমছে। দেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও পেট্রল ও ডিজেলের দাম ৯১ টাকা ১৭ পয়সা ও ডিজেলের দাম রয়েছে লিটার প্রতি ৮১ টাকা ৪৭ পয়সা।
নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিশ্ব বাজারে বিগত ছয়দিন ধরে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমলেও দেশে পেট্রপণ্যের দাম কমার কোনও ইঙ্গিত নেই। ২৭ ফেব্রুয়ারি পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ২৪ পয়সা ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে দাম পৌছেছিল যথাক্রমে ৯১ টাকা ও ৮১ টাকা। বিগত ২০ দিন ধরেই অপরিবর্তিতই রয়েছে সেই দাম।
বিভিন্ন রাজ্যে শুল্কের পরিমাণ ভিন্ন হওয়ায় রাজ্য অনুসারে দামেও ফারাক হয়। শুক্রবার দিল্লিতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম রয়েছে যথাক্রমে ৯১ টাকা ১৭ পয়সা ও ডিজেলের দাম রয়েছে লিটার প্রতি ৮১ টাকা ৪৭ পয়সা। এদিকে মুম্বইয়ে পেট্রল ও ডিজেলের দাম আরও বেশি। সেখানে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৯৭ টাকা ৫৭ পয়সা ও ডিজেলের দাম ৮৮ টাকা ৬০ পয়সা। কলকাতায় পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ৯১ টাকা ৩৫ পয়সা ও ডিজেলের দাম ৮৪ টাকা ৩৫ পয়সা।
২০২১ সালের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে পেট্রপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় দেশেও হু হু করে দাম বেড়েছিল। বিগত দুই মাসে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৮৭ পয়সা ও ডিজেলের দাম ৪ টাকা ৯৯ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়ম মেনে গাড়ি কিনলেই ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ছাড়, ঘোষণা গডকরীর
ইউরোপ জুড়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় লকডাউন জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিগত এক সপ্তাহ ধরেই বিশ্ব বাজারে পেট্রপণ্যের দাম পড়তে শুরু করেছে। দেশেও করোনা সংক্রমণ উর্দ্ধমুখী। তবে সরকারের তরফে এখনও যানবাহনের গতিবিধিতে তেমন রাশ না টানায় দাম কমছে না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গডকরী বলেছিলেন, বিকল্প জ্বালানির ব্যবহারের এটিই সঠিক সময়।
উল্লেখ্য, গত বছর যখন চিন থেকে গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন লকডাউনে চাহিদা কমে যাওয়ায় বিশ্ব বাজারে হু হু করে পেট্রপণ্যের দাম কমেছিল। দেশেও লকডাউন জারি হলেও পেট্রল-ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন আনেনি সরকার। এর ব্যাখ্যায় সরকারপক্ষের একাংশ জানিয়েছিল, গোটা দেশে লকডাউন জারি হওয়ায় সরকারের আয়ের পথ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ছাড় দেওয়া হয়েছিল কেবল বিশেষ পরিষেবার ক্ষেত্রেই। সেই সময় জ্বালানির চাহিদায় প্রায় ৪৫ শতাংশ ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই পেট্রল-ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। লকডাউনের প্রথম পর্বেও পেট্রলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৮৪ টাকা ও ডিজেলের দাম ছিল ৭৫ টাকা।
আরও পড়ুন: এক দিনে একলাফে প্রায় ৪০ হাজার আক্রান্ত, দেশ জুড়ে বাড়ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা