Plea on Nupur Sharma in SC: নূপুর প্রসঙ্গে ‘সুপ্রিম’ মন্তব্য প্রত্য়াহার করা হোক, আবেদন প্রধান বিচারপতির কাছে
SC Plea on Nupur Sharma: অজয় গৌতম নামক দিল্লির এক বাসিন্দা এই আবেদন দাখিল করেছেন। সেখানেই তিনি বলেছেন, নূপুর শর্মা যাতে বিচার পাওয়ার সমান সুযোগ পান, তার জন্য় নূপুর শর্মাকে নিয়ে শীর্ষ আদালত যে পর্যবেক্ষণ রেখেছে, তা প্রত্যাহার করা উচিত।
নয়া দিল্লি: নূপুর শর্মাকে শুক্রবার তীব্র ভৎসর্না করেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জে.বি. পার্দিওয়ালার বেঞ্চ। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে যে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল, তার জন্য সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রীকেই একমাত্র দায়ী করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। আর এই সুপ্রিম ভৎসর্নার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নূপুর শর্মার সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মন্তব্য়কে প্রত্য়াহারের আবেদন জমা পড়ল প্রধান বিচারপতি এনভি রামনার কাছে। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে ওই আর্জি জমা পড়ে। প্রধান বিচারপতিকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এই আর্জিকে যেন জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গ্রহণ করা হয় এবং শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্যকে ‘অযাচিত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, অজয় গৌতম নামক দিল্লির এক বাসিন্দা এই আবেদন দাখিল করেছেন। সেখানেই তিনি বলেছেন, নূপুর শর্মা যাতে বিচার পাওয়ার সমান সুযোগ পান, তার জন্য় নূপুর শর্মাকে নিয়ে শীর্ষ আদালত যে পর্যবেক্ষণ রেখেছে, তা প্রত্যাহার করা উচিত। একইসঙ্গে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলাও দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি জানান তিনি।
শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে নূপুর শর্মার মন্তব্য় সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। বিজেপি নেত্রীর আর্জি ছিল, মহম্মদ নবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দেশের একাধিক প্রান্তে যে সমস্ত মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলিকে মিলিত করে যেন একটিই মামলা দায়ের করা হয়। তবে বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা সেই আর্জি মানতে চাননি। বরং শীর্ষ আদালতের তরফে নূপুর শর্মার ওই মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করে বলা হয়, “দেশজুড়ে যে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য একমাত্র দায়ী নূপুর শর্মাই। তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তার জন্য ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
দেশের সাধারণ মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলার জন্যও তীব্র সমালোচনা করা হয় ওই বিজেপি নেত্রীকে। তাঁর মন্তব্য ঔদ্ধত্যের প্রমাণ দিয়েছে বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হওয়ার অর্থ এই নয় যে, যা মুখে এল তাই বলা যায়, এই কথাও মনে করিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।