PM Narendra Modi: বাংলাদেশে অসুরক্ষিত হিন্দুরা! কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে বৈঠকে মোদী-জয়শঙ্কর, কী হল?
PM Narendra Modi: আঘাত নেমে আসছে হিন্দুদের উপরে, এই অভিযোগ উঠেছে বার বার। সম্প্রতি বাংলাদেশে সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতারের পরেই ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মাপাড়।
বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা। সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে। এবার সেই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক সারলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সূত্রের বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনা নিয়ে বর্তমান কী পরিস্থিতি তা প্রধানমন্ত্রীকে এই দিন বিশদে জানান জয়শঙ্কর।
আঘাত নেমে আসছে হিন্দুদের উপরে, এই অভিযোগ উঠেছে বার বার। সম্প্রতি বাংলাদেশে সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতারের পরেই ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মাপাড়। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। সংখ্যালঘু এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া বার্তা দিয়ে চিঠি লেখা হয়েছিল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকেও।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়াও, জি৭ বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তাও সংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২৪-২৬ নভেম্বর ইতালিতে বৈঠক সেরে দেশে ফিরেছেন জয়শঙ্কর।
ইতালিতে, আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইউক্রেন-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হিংসার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র 8 শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাঁদের সুরক্ষা। প্রায় ২০০ টির বেশি হামলার সম্মুখীন হয়েছে সংখ্যালঘুরা।
কিছুদিন আগেই, অক্টোবরে এক সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ঢাকা বিমানবন্দরে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তারপরেই নতুন করে অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। কোর্ট তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
চট্টগ্রামে আদালতের বাইরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে এক মুসলিম আইনজীবী নিহত হয়েছেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ছয় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইস্কনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে অভিহিত করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল ইউনূস সরকার। যদিও সেই দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে হাই কোর্টে।