PK vs Nitish: ‘ব্যক্তি নয় সত্য হল গুরুত্বপূর্ণ’, পিকেকে পাল্টা জবাব দিলেন একদা ‘সতীর্থ’ নীতীশ

PK vs Nitish: প্রশান্ত কিশোরের মতামত গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রশান্ত কিশোরের সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন নিতিশ কুমার।

PK vs Nitish: 'ব্যক্তি নয় সত্য হল গুরুত্বপূর্ণ', পিকেকে পাল্টা জবাব দিলেন একদা 'সতীর্থ' নীতীশ
ছবি- পিকে-কে চরম কটাক্ষ নীতীশের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2022 | 8:09 PM

পটনা: বৃহস্পতিবারই তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর প্রাক্তন রাজনৈতিক গুরু নীতীশ কুমারের গত ১৫ বছরের শাসনের সমালোচনা করে জানিয়েছিলেন, ‘নতুন ভাবনা এবং নতুন উদ্যোগে’ বিহারকে তিনি ‘পুনরুজ্জীবিত’ করবেন। তাঁর ৩০০০ কিলোমিটার পদযাত্রা করার ঘোষণায় নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত মিলেছিল। একদিন পরই, শুক্রবার, পিকে-র এই নয়া উদ্যোগকে কটাক্ষ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশান্ত কিশোরের নাম না করে তিনি বলেছেন, কোনও এক ব্যক্তির মতামত ‘গুরুত্বপূর্ণ নয়’। বিহারের মানুষ আসল সত্যিটা জানেন।

শুক্রবার, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতীশ বলেন, “আমরা কাজ করেছি কি না তা বিহারের মানুষই জানেন। কোনও এক ব্যক্তির মতামত গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল সত্য। সবাই জানে কী কাজ হয়েছে, কত কাজ হয়েছে।” প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যের জবাব সাধারণ মানুষকেই দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুধু নীতীশ কুমারের ১৫ বছরের শাসন নয়, তার আগে লালুপ্রসাদ যাদবের ১৫ বছরের শাসনকালেরও বৃহস্পতিবার কড়া সমালোচনা করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। পিকে দাবি করেছিলেন, বিহারের দুই নেতাই তাঁদের আমলে রাজ্যের উন্নয়নের দাবি করেন। তবে, তারপরও গত ৩০ বছরে বিহার ভারতের সবথেকে পিছিয়ে পড়া এবং দরিদ্রতম রাজ্যে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের অধিকাংশ পরিমাপেই বিহার একেবারে তলানিতে রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, বিহারকে উন্নত রাজ্যগুলির তালিকায় তুলে আনতে গেলে লালু বা নীতীশের চলা পথে হাঁটলে হবে না। তবে, নীতীশের আমলে যে বিহারে যে কিছু পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তাও জানিয়েছিলেন পিকে। তবে, রাস্তাঘাট, সেতু, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের কাজের পরও বিহার যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে।

প্রশান্ত কিশোর আরও জানিয়েছিলেন, আগামী ৩-৪ মাস ধরে তিনি বিহারে জুড়ে অন্তত ১৭-১৮ হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁদের সঙ্গে বিহারে পরিবর্তনের বিষয়ে কথা আলোচনা করবেন। তারপর ২ অক্টোবর মাস থেকে পশ্চিম চম্পারন জেলা থেকে পদযাত্রা শুরু করবেন তিনি। পরের প্রায় এক বছর ধরে চলবে সেই ৩০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রা। তারপর মানুষ চাইলে কোনও নতুন রাজনৈতিক দল বা মঞ্চ গঠন করবেন, এমনটাই জানিয়েছেন পিকে।

২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে, তাঁর সহায়তায় বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরাট জয়ের পরই প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন ভোট কুশলীর ভূমিকা থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি। জানিয়েছিলেন, এবার সরাসরি রাজনীতিতে নামতে চান। এরপর, কংগ্রেসের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল তাঁর। শোনা যাচ্ছিল তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। পরে অবশ্য সেই আলোচনা ব্যর্থ হয়। সূত্র মতে, পিকেকে তাঁর চাহিদা মতো স্বাধীনতা দিতে চায়নি কংগ্রেস। এর আগে একবারই সরাসরি রাজনীতির আঙিনায় দেখা গিয়েছিল পিকেকে। তাঁকে জনতা দল ইউনাইটেডের সহ-সভাপতি করেছিলেন নীতীশ কুমার। তবে, পরে দু’জনের রাস্তা আলাদা হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর সরাসরি রাজনীতিতে ছিলেন না পিকে। তাঁর নয়া উদ্যোগ কী বিহারের রাজনীতিতে জন্ম দেবে নয়া সমীকরণের? এখন সেটাই দেখার।