AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyclone Update: আন্দামান সাগরে ‘অশনি’ সঙ্কেত, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে এই রাজ্যগুলিতে

Cyclone Update: আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে নিম্নচাপটি গভীর হচ্ছে। আগামী ৮ মে-র মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

Cyclone Update: আন্দামান সাগরে 'অশনি' সঙ্কেত, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে এই রাজ্যগুলিতে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়।
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 7:36 AM
Share

নয়া দিল্লি: ঘনিয়ে আসছে বিপদ। আমপান, ইয়াস, ফণির পর ফের এক ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) আছড়ে পড়তে চলেছে। ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে আন্দামান সাগরের (Andaman Sea) উপরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে শুক্রবার থেকেই ওড়িশা উপকূলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এবার নতুন পূর্বাভাসে জানানো হল যে ৭ বা ৮ মে-র বিকেলের মধ্যেই দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও পার্শ্ববর্তী বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ১০ মে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে পৌঁছবে ঘূর্ণিঝড়টি। এর জেরে ওড়িশা ও সীমানা লাগোয়া রাজ্যগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে অশনি। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে নিম্নচাপটি গভীর হচ্ছে। আগামী ৮ মে-র মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টি যখন ওড়িশা উপকূলে প্রবেশ করবে, তখন একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত গঞ্জাম, খরদা, পুরী ও জগৎসিংপুরে ১০ মে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি নির্দিষ্ট কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের গতিবেগ কত হতে পারে,তাও এখনই বলা সম্ভব নয়। নিম্নচাপটি আরও গভীর হলে ও জলভাগ থেকে স্থলের দিকে অগ্রসর হলে তবে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ আরও সুস্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।”

তবে নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎসজীবীদের বিশেষ সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষত পূর্ব উপকূলের মৎসজীবীদের ৯ মে থেকে সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই সময়ে বাতাসের গতিবেগ ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থাকতে পারে। শনিবার থেকেই নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টির দাপট শুরু হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের নির্দিষ্ট গতিপথ সম্পর্কে এখনও জানা না গেলেও, মনে করা হচ্ছে দক্ষিণ ওড়িশা বা উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলেই ল্যান্ডফল হতে পারে। ১০ ও ১১ মে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকে সমুদ্রে মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।