সেখানেই লুকিয়ে রহস্য!অ্যান্টিলিয়ার ২৭ তলাতেই কেন সবাইকে থাকার নির্দেশ নীতা অম্বানির?
বিশ্বে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলে মুকেশ অম্বানি। বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি। তাঁর বিলাসবহুল সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম হল তাঁদের আকাশচুম্বী বাসভবন অ্যান্টিলিয়া। ২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ব্যক্তিগত বাসভবনের তকমা দেওয়া হয় অম্বানীদের বাড়িকে।
বিশ্বে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলে মুকেশ অম্বানি। বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি। তাঁর বিলাসবহুল সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম হল তাঁদের আকাশচুম্বী বাসভবন অ্যান্টিলিয়া। ২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ব্যক্তিগত বাসভবনের তকমা দেওয়া হয় অম্বানীদের বাড়িকে। ২৭ তলা বাড়ির উচ্চতা ১৭৩ মিটার। ৪ লক্ষ বর্গফুটের বাসভবনে রয়েছে তিনটি হেলিপ্যাড ১৬৮ টি গাড়ি রাখার জন্য গ্যারেজ।
এত বড় বাড়িতে শুধুমাত্র ২৭ তলাতেই থাকেন অম্বানিরা। বাড়ির আর কোনও তলায় থাকা বারণ অম্বানি পরিবারের সদস্যদের। কঠোর নির্দেশ নীতা অম্বানির। কিন্তু কেন এমন নিয়মে বেঁধেছেন সবাইকে তিনি। শ্লোকা-আকাশ থেকে পরিবারের সবাই ২৭ তলাতেই থাকেন। এমনিতেই তাঁরা বাস্তুশাস্ত্র মেনে চলেন। তবে এ ক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্র নয় প্রত্যেকের ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসে তাই বাড়ির সবচেয়ে উপরের তলায় থাকেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এই বাড়িতে রয়েছে ৯টি হাইস্পিড এলিভেটর, একটি ৫০ আসনের থিয়েটার, ছাদ-বাগান, স্যুইমিং পুল, স্পা, হেলথ সেন্টার, মন্দির এবং স্নো রুম। শুধু তাই নয়, ৮ ম্যাগ্নিচিউডের ভূমিকম্পও সামলে নিতে পারবে অ্যান্টিলিয়া। ৪৫৩২ বর্গমিটার এলাকার উপর অবস্থিত অ্যান্টিলিয়া। এই ভবনে ৬০০ জন গৃহকর্মী থাকারও বন্দোবস্ত রয়েছে। ২০১১ সালের জুন মাসে ৫০ জন বিশেষ পণ্ডিতকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পুজো ও যজ্ঞ করান। বাস্তু বিশেষজ্ঞকে দিয়ে অ্যান্টিলিয়ার বাস্তুদোষ কাটানোর ব্য়বস্থা করেন তাঁরা। শোনা যায় সেই বাস্তু বিশেষজ্ঞ নাকি প্রতি ঘণ্টায় ১৫ লক্ষ টাকা চার্জ করেন। তারপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে পাকাপাকি ভাবে অ্যান্টিলিয়ায় বাস শুরু করেন মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবার।