AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PM Modi on Brazil: ‘গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো উচিত’, ব্রাজিলের ‘হিংসা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মোদীর

PM Modi on Brazil: ব্রাজিলে সরকারি ভবনে হামলা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলাসোনারের সমর্থকদের। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলার পাশে থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

PM Modi on Brazil: ‘গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো উচিত’, ব্রাজিলের ‘হিংসা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মোদীর
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2023 | 12:40 PM
Share

নয়া দিল্লি: আমেরিকার ছায়া এবার ব্রাজিলে (Brazil)। রবিবার বিক্ষোভ, অশান্তিতে উত্তাল হল ব্রাজিল। এ দিন ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর (Jair Bolsenaro) সমর্থকরা সে দেশের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একাধিক জায়গায় হামলা চালায় এই চরম ডানপন্থীরা। ব্রাজিলের এই দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে সকলের সম্মান করা উচিত।

ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ় ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে ট্যাগ করে মোদী লিখেছেন, “ব্রাসিলিয়াতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই দাঙ্গা ও ভাঙচুরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সকলের গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে সম্মান করা উচিত। ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষকে পুরোপুরি সমর্থন জানাচ্ছি।” প্রেসিডেন্ট প্যালেস-সহ একাধিক জায়গায় চরম ডানপন্থীদের হামলার পরই প্রধানমন্ত্রীর তরফে এই প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। এবং ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই অনুরূপ ছবি দেখা গিয়েছিল আমেরিকাতেও। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রে নেমে এসেছিল চরম আঘাত। ট্রাম্পের হেরে যাওয়ার পর তাঁর সমর্থনকারীরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়। বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল ব্রাজিলে।

প্রসঙ্গত, অক্টোবরের নির্বাচনে বোলসোনারোকে হারান ৭৭ বছর বয়সী বামপন্থী নেতা লুলা। সম্প্রতি তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন। তবে বোলসোনারোর হার মেনে নিতে পারেননি তাঁর সমর্থকরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারের পর থেকেই বোলসোনারোর সমর্থকরা লুলাকে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়া থেকে আটকানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। তাঁরা সেনার ঘাঁটির বাইরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ক্ষমতা নেওয়ার থেকে লুলাকে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁরা সামরিক হস্তক্ষেপের দাবিও জানান। এরপর রবিবার তাঁদের এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অন্য মাত্রা পেয়েছে। রবিবার ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বোলসোনারোর সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। এই হামলাকে ফ্যাসিবাদী আক্রমণ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট লুলা। তবে বোলসোনারো এই হামলার পিছনে নিজের দায় অস্বীকার করেছেন। টুইটারে তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে সওয়াল করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো।