Vladimir Putin: চোখ-নাক-মুখ- সব এক! আসছেন তিনজন ‘পুতিন’, আসল কে?
Vladimir Putin India Visit: চিন, উত্তর কোরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য ছাড়া খুব একটা বিদেশসফর করেন না পুতিন। তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু বন্ধু মোদীর আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়েও থাকতে পারেননি। তাই ৪ বছরের ব্যবধানে ফের ভারত সফরে আসছেন তিনি।

নয়া দিল্লি: ফেরাতে পারেননি ‘বন্ধু’র আমন্ত্রণ, সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ভারত সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আজ ও আগামিকাল (৪-৫ ডিসেম্বর) ভারতে থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। আজ বিকেলেই নয়া দিল্লিতে পা রাখবেন পুতিন। বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে। যাবেন রাজঘাটেও। তবে জানেন কি, একজন পুতিন নয়, আসছেন তিন-তিনজন পুতিন!
পুতিনের জীবন বড়ই রহস্যময়। রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের নিরাপত্তাও আলাদা স্তরের। এমনই সেই নিরাপত্তা, যা সাধারণ মানুষের কল্পনাতেও আসে না। মস্কো থেকে তিনজন ‘বডি ডাবল’ নিয়ে আসছেন পুতিন। বিদেশ সফরে গেলেই হুবহু একই রকম দেখতে বডি ডাবল নিয়ে যান পুতিন। কে আসল পুতিন, কে নকল, তা বোঝার উপায় নেই। দাবি, পুতিনের মতো যাতে দেখতে লাগে, তাই প্রয়োজনে প্লাস্টিক সার্জারিও করে তাঁর বডি ডাবল-রা। নিরাপত্তার খাতিরেই সঙ্গে বডি ডাবলদের নিয়ে ঘোরেন পুতিন, যাতে হামলাকারীও বিভ্রান্ত হয়ে যায়।
প্রকাশ্যে এলেই পুতিন সবসময় কোটের নিচে ‘বুলেটপ্রুফ ভেস্ট’ পরেন। ২০২৩-এ বিষয়টি জানাজানি হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চূড়ান্ত সতর্ক থাকেন পুতিন। পুতিনের নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি-বোমা আটকাতে পারে এমন ঢাল সঙ্গে নিয়ে সবসময় তাঁকে ঘিরে থাকেন। এমনকী, প্রত্যেক এসএসও (FSO) বডিগার্ড চুক্তিপত্রে সই করে আসেন যে প্রাণ গেলেও তাঁরা পুতিনের দিকে গুলি চললে, সামনে মানবপ্রাচীর করে ঘিরে দাঁড়াবেন তাঁরা। অন্তত দু’জন রক্ষীর হাতে থাকে অ্যান্টি-ড্রোন ইন্টারসেপ্টর। ড্রোন হামলা থেকে রুশ প্রেসিডেন্টকে বাঁচাতেই এই নজিরবিহীন নিরাপত্তা।
রুশ প্রেসিডেন্ট মোবাইল ফোনও ব্যবহার করেন না। তাই মস্কো থেকে আসছে সিকিওর টেলিফোন বুথ। হ্যাক করা অসম্ভব এই টেলি-কমিউনিকেশন সিস্টেম।
চিন, উত্তর কোরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য ছাড়া খুব একটা বিদেশসফর করেন না পুতিন। তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু বন্ধু মোদীর আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়েও থাকতে পারেননি। তাই ৪ বছরের ব্যবধানে ফের ভারত সফর।
পুতিনের সফরের আগেই নয়া দিল্লিতে এসে পৌঁছেছে তাঁর ‘চলমান দুর্গ’, ‘অরাস সেনাট’ লিম্যুজিন। এই গাড়ির ভিতরেই থাকে কমান্ড সেন্টার। গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪৯ কিলোমিটার। চারটি চাকা ফেটে গেলেও গতি কমবে না এই গাড়ির। বোমা বা গ্রেনেড হামলায় গাড়িটির ক্ষতি হবে না। ভিতরে থাকে রক্ত ও অক্সিজেনের সাপ্লাই।
রুশ প্রেসিডেন্ট মস্কো থেকে দিল্লিতে নামবেন তাঁর প্রেসিডেন্সিয়াল বিমান- ‘ইলিউশিন ২’-৯৬-এ চেপে। বিমানেই রয়েছে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, স্যাটেলাইট কমিনিকেশন সেন্টার। একটা নয়, পুতিনের জন্য আসছে চারটি বিমান। কোনটায় পুতিন থাকবেন, নামার আগে পর্যন্ত জানা যাবে না, কারণ নিরাপত্তার বিষয়ে ভীষণই খুঁতখুঁতে পুতিন।
নিউক্লিয়ার ফুটবল ও নিউক্লিয়ার বিস্কুট- দুই-ই সঙ্গে করে আনছেন পুতিন। তাঁর বিমান ও গাড়িতে সঙ্গে নিয়েই ঘুরবেন। পুতিনের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে যে কালো ব্রিফকেস থাকে, তার ভিতরে পরমাণু হামলার ‘কোড’ থাকে। এই ব্রিফকেস-কে বলে নিউক্লিয়ার ফুটবল। ওই ব্রিফকেসের ভিতরে হামলার যে কোড থাকে তাকে বলে বিস্কুট। এই দুটিকে কাছছাড়া করেন না রাশিয়ার অধুনা ‘জার‘।
পুতিনের সঙ্গে যাঁরাই আসছেন, তাঁদের প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক ২ সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে। রোগভোগ, চক্রান্তের হাত থেকে বাঁচতেই এই সিদ্ধান্ত।
