School student harassed: স্কুলের ফি দিতে না পারায় ছাত্রকে মেঝেতে বসে পরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশ প্রিন্সিপালের
School student harassed: নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলের ফি দিতে পারেনি। তারই শাস্তি হিসাবে শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিতে হল ছাত্রকে। স্কুলের প্রিন্সিপালই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে এই শাস্তি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
তিরুবনন্তপুরম: নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলের ফি (School fee) দিতে পারেনি। তারই শাস্তি হিসাবে শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিতে হল ছাত্রকে। স্কুলের প্রিন্সিপালই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে এই শাস্তি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। চরম অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের (Kerala) রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে। যদিও ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রশাসক। প্রিন্সিপালের (School principal) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, তিরুবনন্তপুরমের ভিলায়াবালাম এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে ছাত্রকে হেনস্থা করার ঘটনাটি ঘটেছে। ছাত্রটির পরিবার জানিয়েছেন, পরীক্ষা চলাকালীন প্রিন্সিপাল শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ছাত্রদের বলেন, “যাদের ফি বাকি রয়েছে তারা উঠে দাঁড়াও।” তারপর প্রিন্সিপাল সরাসরি সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রটিকে স্কুলের ফি বাকি থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। ছাত্রের কথায়, “স্কুলের ফি-র ব্যাপারে বাবাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য আমি প্রিন্সিপালকে অনুরোধ জানাই। কিন্তু, তিনি কোনও কথা শুনতে চাননি। তিনি আমাকে বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন এবং মেঝেতে বসতে বলেন।”
সহপাঠীদের সামনে প্রিন্সিপালের এহেন আচরণ এবং মেঝেতে বসে পরীক্ষা দেওয়ায় চরম অপমাণিত বোধ করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটি। তার বাবার আরও অভিযোগ, “আমি ফোনে এব্যাপারে প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বললে তিনি আমাকে কটাক্ষ করেন এবং বলেন আমার ছেলেকে ভাল মেঝেতে বসতে দেওয়া হয়েছিল।”
প্রিন্সিপালের কাছে এরকম জবাব পেয়েই স্কুল পরিচালন সমিতির প্রধান মি. প্রসাদের কাছে অভিযোগ জানান ওই ছাত্রের বাবা। তিনি অবশ্য ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এবং এটা ‘প্রিন্সিপালের ভুল’ উল্লেখ করেছেন। তিনি ছাত্রের বাবার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন এবং সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করলেন বলেও জানিয়েছেন।
কিন্তু, প্রিন্সিপালের ওই আচরণের পর আর স্কুলে পরীক্ষা দিতেও চাইছিল না ওই ছাত্র। এভাবে ছাত্রকে হেনস্থা করা উচিত নয় বলেই দাবি ছাত্রের বাবার। তিনি আর বিষয়টি নিয়ে কোনও মীমাংসায় যেতে রাজি নন। ছেলেকে অন্য স্কুলে বদলি করতে চান। তবে আর কোনও ছাত্রকে যাতে এভাবে হেনস্থা করা না হয়, সে ব্যাপারে স্কুল পরিচালন কমিটির নজর দেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন ওই ছাত্রের বাবা।