ASI survey: মিজোরাম সীমান্তে এ কিসের মূর্তি? খতিয়ে দেখবে ASI
ASI survey: ড. গণেশ নন্দী জানিয়েছেন, ত্রিপুরার উনকোটি ও পিলাকে যে ধরনের শিল্পের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে মিজোরামের এই স্থাপত্যের। দুই স্থাপত্যই একই সময়ে তৈরি বলে মনে করেন তিনি।
মিজোরাম: ভারতে ও আশপাশের একাধিক জায়গায় বৌদ্ধ ধর্মের নানা নিদর্শন রয়েছে। কয়েকশ বছর আগের এমন আরও এক স্থাপত্যের খোঁজ পেলেন অসম ইউনিভার্সিটির অন্যতম অধ্যাপক ড. গণেশ নন্দী ও ড. বিনয় পাল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অসম ও মিজোরামের সীমান্তে রয়েছে সেই বৌদ্ধ নিদর্শন। সীমান্ত পার করে সেই গন্তব্যে পৌঁছতে প্রায় সারা রাত ধরে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছেন তাঁরা।
মিজোরামের মামিত জেলার কোলালিয়ান গ্রামে স্থাপত্যের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। ওই অঞ্চলে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষই রিয়াং গোষ্ঠীর মানুষ, তাঁরা হিন্দু দেবদেবীরই পুজো করেন।
ড. গণেশ নন্দী জানিয়েছেন, ত্রিপুরার উনকোটি ও পিলাকে যে ধরনের শিল্পের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে মিজোরামের এই স্থাপত্যের। দুই স্থাপত্যই একই সময়ে তৈরি বলে মনে করেন তিনি।
ওই স্থানে একটি মাত্র পূর্ণ দৈর্ঘ্যের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, সেটি বুদ্ধমূর্তির মতো। আবার অনেকাংশে এটি মহিলার মতোও মনে হচ্ছে। বুদ্ধমূর্তি নাকি হিন্দু দেবতার মূর্তি, তা বোঝার উপায় নেই। গবেষক জানিয়েছেন, ত্রিপুরার মাণিক্য রাজাদের রাজত্বের অধীনে রয়েছে একাধিক এলাকা, তার মধ্যেই একটি অংশে থাকেন এই রিয়াং গোষ্ঠীর মানুষজন। একসময় এখানে দুর্গা পূজার রীতি ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
তবে ওই পাথরের মূর্তি ঠিক কবে তৈরি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গুপ্তা ও পাল যুগে যেসব স্থাপত্য তৈরি হয়েছিল, তার সঙ্গেও মিল রয়েছে এটির। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সন্ধানে এখনও আসেনি এই মূর্তি। সেগুলি তাই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এএসআই বিশেষ টিম পাঠাবে ওই অঞ্চলে। সঙ্গে থাকবেন গবেষকরাও।