AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sonia Gandhi: বিদেশিনী থেকে কংগ্রেসের কান্ডারি, ৭৮তম জন্মদিনে ফিরে দেখা সনিয়ার রাজনৈতিক পথ-চলা

সনিয়ার আপাত নিরীহ জীবনের আমূল বদল শুরু হয় রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর। ১৯৯১ সালে খুন হল রাজীব। গান্ধী পরিবারের রাজনীতির ঐতিহ্য বজায় রাখতে তখন রাজনীতির আঙিনায় নামেন সনিয়া। হাল ধরেন কংগ্রেসের। ১৯৯৮ সালে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব আসে তাঁর কাঁধে। তাঁর নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের আদর্শে অবিচল থাকে কংগ্রেস।

Sonia Gandhi: বিদেশিনী থেকে কংগ্রেসের কান্ডারি, ৭৮তম জন্মদিনে ফিরে দেখা সনিয়ার রাজনৈতিক পথ-চলা
সনিয়া গান্ধী
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2023 | 9:08 AM
Share

নয়াদিল্লি: ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম সনিয়া গান্ধী। জোট রাজনীতিতে কংগ্রেস দলের অন্যতম কান্ডারি তিনি। শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ৭৮ বছরে পা দিলেন তিনি । সকাল থেকেই অনুগামী এবং সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন। সম্প্রতি তেলঙ্গানার ক্ষমতা দখলের পর সে রাজ্যের কংগ্রেস সনিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে করেছে বিশেষ ব্যবস্থা। সনিয়ার ৭৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭৮ কেজির কেক কেটে পালন করা হবে এই কংগ্রেস সাংসদের জন্মদিন।

ভারতীয় রাজনীতির উজ্জ্বল চরিত্র সনিয়ার জন্ম ইটালিতে। ১৯৪৬ সালে ইটালির লুসিয়ানাতে জন্ম তাঁর। ইটালিতেই প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে পড়াশোনা শুরু করেন সনিয়া। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় রাজীব গান্ধীর। এর পর ১৯৬৮ সালে রাজীবের সঙ্গে বিয়ে হয় সনিয়ার। রাজীবকে বিয়ের সূত্রেই তাঁর ভারতে আগমন।

কিন্তু সনিয়ার আপাত নিরীহ জীবনের আমূল বদল শুরু হয় রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর। ১৯৯১ সালে খুন হল রাজীব। গান্ধী পরিবারের রাজনীতির ঐতিহ্য বজায় রাখতে তখন রাজনীতির আঙিনায় নামেন সনিয়া। হাল ধরেন কংগ্রেসের। ১৯৯৮ সালে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব আসে তাঁর কাঁধে। তাঁর নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের আদর্শে অবিচল থাকে কংগ্রেস। ১৯৯৯ সালে প্রথম বার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৪ সালে এনডিএ জোটকে পরাস্ত করে সরকার গঠন করে ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স)। কংগ্রেসের নেতৃত্ব গঠিত এই জোটের প্রধানের দায়িত্বও ছিল সনিয়ার কাঁধে। ২০০৪ সালে ইউপিএ গঠনের পর সবাই ভেবেছিল প্রধানমন্ত্রী হবেন সনিয়া। এ নিয়ে বিরোধীদের ‘বিদেশিনী’ কটাক্ষও হজম করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু দলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ হেলায় ত্যাগ করেন সনিয়া। তবে ইউপিএ এবং কংগ্রেসের দায়িত্ব নাগাড়ে পালন করে গিয়েছেন তিনি।

ইউপিএ সরকার টানা ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল। ২০০৪- ২০১৪ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউপিএ সরকার। যেমন, ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট এবং রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই) অ্যাক্ট। এই দুই আইন যাতে পাশ হয়, সে বিষয়ে সনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়। ২০০৭ সালে বিশ্বের ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ২০১০ সালে ফোর্বসের বিশ্বের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিলেন তিনি।

২০১৪ সালে ইউপিএ জোটকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে এনডিএ। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। তার পরও সংসদে বিরোধী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে সনিয়াকে। তবে এর মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে থাকে। ২০১৭ সালে ছেলে রাহুল গান্ধীর হাতে কংগ্রেসের দায়িত্ব তুলে দেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও দলে সনিয়ার প্রভাব এখনও রয়েছে বলে মত বিশ্লেষক মহলের। তবে স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে এখন অনেক অনুষ্ঠানে দেখা যায় না সনিয়াকে। কিন্তু তেলঙ্গানায় কংগ্রেস সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের জয় নিশ্চিতভাবে তাঁর ৭৮তম জন্মদিনের সবথেকে বড় উপহার।