Lashkar-e-Taiba: ড্রোনের মাধ্য়মে ভারতে জঙ্গি পাঠানোর চেষ্টা! প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে লস্কর-ই-তৈবা
Human Transport Via Drone: সূত্রের খবর, লস্কর জঙ্গিরা যে ড্রোন ব্য়বহার করছে, তা ৭০ কেজি অবধি ওজন বহন করতে সক্ষম। ফলে হালকা ওজনের কোনও জঙ্গি ও অস্ত্রশস্ত্র সীমান্তের ওপার থেকে ভারতে পাঠাতে কোনও সমস্যাই হবে না। এই ড্রোন একবারে ৬০ কিলোমিটার অবধি যাতায়াত করতে পারে।

নয়া দিল্লি: বড়সড় সন্ত্রাসবাদের ছক কষা হচ্ছে, এই আঁচ আগেই মিলেছিল। এবার প্রমাণও মিলল। ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তের ওপার থেকে এপারে অস্ত্র, মাদক পাচারের পর এবার জঙ্গিও পাঠানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান (Pakistan)। সূত্রের খবর, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) ড্রোনের মাধ্যমে জঙ্গিদের ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করছে। এর জন্য বিশেষ একটি ড্রোন (Drone) ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ৭০ কেজি অবধি ওজন বহন করতে সক্ষম। ইতিমধ্যেই ড্রোনের মাধ্যমে মানুষ বহন ও অবতরণ করার পরীক্ষাও করা হচ্ছে।
সম্প্রতিই প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিয়ো, যা দাবি করা হচ্ছে পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈবা ড্রোন ট্রেনিং ক্যাম্পের ভিতরের। একটি সংবাদমাধ্যম ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করেছে, ড্রোনের মাধ্য়মে জঙ্গিদের ভারতে কীভাবে পাঠানো যায়, তার পরীক্ষা করা হচ্ছে। জঙ্গিদের জলের মধ্যে নামানোর পরিকল্পনা কষছে লস্কর-ই-তৈবা। মূলত জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাবের সীমান্তেই জঙ্গিদের পাঠানোর পরিকল্পনা। গত মাসে পঞ্জাবে এই পদ্ধতিতে এক জঙ্গিকে পাঠানো হয়েছিল বলেও গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, লস্কর জঙ্গিরা যে ড্রোন ব্য়বহার করছে, তা ৭০ কেজি অবধি ওজন বহন করতে সক্ষম। ফলে হালকা ওজনের কোনও জঙ্গি ও অস্ত্রশস্ত্র সীমান্তের ওপার থেকে ভারতে পাঠাতে কোনও সমস্যাই হবে না। এই ড্রোন একবারে ৬০ কিলোমিটার অবধি যাতায়াত করতে পারে। গোয়েন্দাদের দাবি, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদত ছাড়া লস্কর জঙ্গিদের কাছে এই অত্যাধুনিক ড্রোন থাকা অসম্ভব।
জঙ্গিরা মূলত পাকিস্তান থেকে মাদক ও অস্ত্র ভারতে পাচার করে। জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাবের সীমান্তেই ড্রোনের মাধ্য়মে এই পাচারচক্র চলে। সম্প্রতি রাজস্থান ও গুজরাটের সীমান্তও ব্যবহার করা শুরু করেছে জঙ্গিরা। সেখান থেকে সড়কপথে পঞ্জাবে মাদক ও অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
যে সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে টানা তিনদিন ধরে জঙ্গি দমন অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী, সেই সময়ে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের এই কার্যকলাপ অত্য়ন্ত উদ্বেগজনক।
