Manipur Violence: হিংসা থামাতে যেতেই সেনার উপর অতর্কিত হামলা, মণিপুরের কাংপোকপিতে মোতায়েন বিশাল বাহিনী
Manipur Violence: এদিন ভোরে হারাওথেল নামে জেলার এক এক গ্রামে গুলি চলছে খবর পেয়ে, ওই গ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিল বাহিনী। পথে, সেনা কনভয়ের উপর হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।
ইম্ফল: বৃহস্পতিবার (২৯ জুন), ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হিংসাধ্বস্ত মণিপুরে এসেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একই দিনে, ফের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালাল সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। সেনার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে কাংপোকপি জেলায়। এদিন ভোরে হারাওথেল নামে জেলার এক এক গ্রামে গুলি চলছে খবর পেয়ে, ওই গ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিল বাহিনী। পথে, সেনা কনভয়ের উপর হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। সেনার ওই মুখপাত্র দাবি করেছেন, নিয়ন্ত্রিতভাবে সেই হামলার জবাব দেয় সেনা। সেনার গুলিতে সশস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলে মনে করছ সেনা। তবে এই বিষয়ে কোনও নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রাজ্যে শান্তি আনতে মণিপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পসকে মোতায়েন করা হয়েছে। স্পিয়ার কর্পসের পক্ষ থেকে এদিন টুইট করা হয়েছে, “সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাচ্ছে বলে খবর পেয়ে হারাওথেল গ্রামে যাচ্ছিল সৈন্যরা। ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময়, আমাদের বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। দ্রুত পদক্ষেপের ফলে অবিলম্বে গোলাগুলি চালানো বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে।” সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হারাওথেল গ্রামে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে সেনা।
গত ৩ মে চুরাচন্দপুর শহর থেকে গোটা রাজ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৫০,০০০ মানুষ ঘরছাড়া। বহু মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ দুই বিজেপি নেতার বাড়িও আছে। এর পাশাপাশি চলছে অস্ত্র লুঠ। রাজ্য পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, গত এক মাসে অন্তত ৩,৫০০ অস্ত্র লুঠ করেছে উন্মত্ত জনতা। নিরাপত্তা বাহিনীকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখতে আন্দোলনের সামনে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। সোমবার সেনার পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “মণিপুরে মহিলারা রাস্তা অবরোধ করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে হস্তক্ষেপ করছে।” সেনা দাবি করে, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করার চেষ্টা করছে তারা। এই ধরনের অযৌক্তিক হস্তক্ষেপের ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর সময়মতো কাজ করতে পারছে না বলেও জানানো হয়। শান্তি ফেরাতে ভারতীয় সেনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য সেনার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে জনগণের কাছে।