Supreme Court On SSC: দাগি-তালিকায় এত কম নাম কেন? ঠিক ২ দিনের মাথায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে SSC
SSC: এসএসএসি (SSC) নিয়ে একের পর এক মামলা চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। নতুন করে যে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সোমবার চলছিল তেমনই একটি মামলা বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে।

নয়া দিল্লি: এসএসসি-র (SSC) দাগিদের তালিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্টও। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার প্রশ্ন, ‘দাগিদের নামের তালিকা এত কম কেন?’। এর জবাবও দেয় কমিশন। বস্তুত, শনিবার রাতে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১,৮০৬ জনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। রয়েছে শাসক দলের অনেক নেতা-নেত্রী বা নেতা-ঘনিষ্ঠদের নাম। তবে এই তালিকার বাইরে কি আর কোনও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী নেই? সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। একা শামিম নন, অযোগ্যদের তালিকা প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার বলে টিভি ৯ বাংলাকে জানিয়েছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এই একই ইস্যুতে প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালতও।
এসএসএসি (SSC) নিয়ে একের পর এক মামলা চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। নতুন করে যে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সোমবার চলছিল তেমনই একটি মামলা বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে। সেখানেই শুনানির সময় আদলত বলে, অনেক চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্তদের নাম তালিকায় নেই। বিষয়টি খতিয়েও দেখতে বলা হয় কমিশনকে।
এরপর বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ প্রশ্ন করে, সিবিআইয়ের তালিকায় আরও বেশি নাম ছিল। এখানে কেন এত কম কেন? পাল্টা কমিশনের জবাব, সিবিআই তালিকায় যাদের নাম ছিল, সেই তালিকার সবাইকে নিয়োগ করা হয়নি। যে দাগিরা নিযুক্ত হয়েছিল, এই তালিকায় শুধু তাদের নামই আছে। বস্তুত, এর আগে এই বিচারপতিদের বেঞ্চ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বারেবারে সতর্ক করেছিলেন, নতুন পরীক্ষায় যেন কোনও অযোগ্য বসতে না পারে। আজ আরও একবার এই ইস্যুতেই কমিশনকে সতর্ক করল শীর্ষ আদালত।
আদালত এদিনও কড়া বার্তা দিয়ে বলে, কোনও অযোগ্য যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে। তখন কমিশনের আইনজীবী প্রীতিকা দ্বিবেদি জানান, কমিশন সেদিকে নজর রাখছে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম টিভি ৯ বাংলায় বলেন, “আমরা তো প্রথম থেকেই বলছি প্রায় ৬ হাজারের বেশি হবে এই সংখ্যাটা। কিন্তু কমিশন ১৮০৬ জনের নাম বের করেছে। এখনও এমন অনেক অ্যাডমিট কার্ড প্রাপক রয়েছেন যাঁরা ৭ তারিখ পরীক্ষায় বসবেন অথচ তাঁরা দাগি হিসাবে চিহ্নিত। ওই যে যাঁর ORM শিটের নম্বর ধরুন শূন্য বেড়ে ৫৩ হয়েছে। তাঁরা পরীক্ষায় বসবেন। সেটা মোটেই ঠিক নয়। চাকরিহারা চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “এই নামগুলো হল অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিক। এরা চাকরি করছেন। কিন্তু সিবিআই লিস্ট অনুযায়ী অনেকেই আছে যাঁরা চাকরি পায়নি। এরা ওয়েটিংয়ে থাকতে পারে, নট কল ফর ভেরিফিকেশনে থারতে পারে, কিন্তু তাঁদেরও ওএমআর-এ গড়মিল ছিল। এই তালিকাও সিবিআই দেয়। এদের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই বিধান দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট শুনেছি। সেই তালিকাও প্রকাশ যদি করে সাধুবাদ জানাব আমরা। তা সে চাকরি পাক আর না পাক।”
