Sudip Banerjee: লোকসভায় নিজের সাংসদদের থেকেই বিচ্ছিন্ন সুদীপ!
Sudip Banerjee: তৃণমূল সাংসদরা কে কোন আসনে বসবেন, স্পিকার অফিসের নির্দেশক্রমে গত জুলাই মাসে সেই তালিকা জমা দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে সুদীপকে জানানো হয়েছিল, ফ্রন্ট রো-তে ২৭৮ নম্বর আসন পেতে চলেছেন তিনি। তাঁর পিছনে থাকবেন বাকি তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু শনিবার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, তৃণমূলের বাকি সাংসদদের আসন সংখ্যা এক থাকলেও দলনেতার আসন ২৭৮ এর বদলে ৩৫৪ হয়ে গিয়েছে।
নয়াদিল্লি: সাধারণত লোকসভায় কোন একটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা একটি ব্লকেই বসেন। প্রথমের আসনে থাকেন সংসদীয় দলের নেতা। পিছনে অন্য সাংসদরা। বিরোধী বেঞ্চের একটি ব্লকের ফ্রন্ট রোতে পাশাপাশি আসন পেয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদব। সুদীপের পিছনে মুখ্য সচেতক হিসেবে থাকার কথা ছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন। কিন্তু পরিবর্তে অখিলেশ এবং সুদীপের পিছনে শুধুমাত্র সমাজবাদী পার্টির সাংসদদের আসন দেওয়া হয়েছে। এদিকে কল্যাণ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাকি তৃণমূল সাংসদদের পাশের একটি ব্লকে চিরাগ পাসওয়ান এবং জিতেনরাম মাঝির পিছনে আসন দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক আলোচনায় ঠিক হয়েছিল, সমাজবাদী পার্টি সাংসদরা যে আসন পেয়েছেন সেই ব্লক তৃণমূলকে দেওয়া হবে। কিন্তু শনিবার চূড়ান্ত তালিকা আসার পর দেখা যায়, তৃণমূল সংসদীয় দল থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে দলনেতার আসন।
তৃণমূল সাংসদরা কে কোন আসনে বসবেন, স্পিকার অফিসের নির্দেশক্রমে গত জুলাই মাসে সেই তালিকা জমা দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে সুদীপকে জানানো হয়েছিল, ফ্রন্ট রো-তে ২৭৮ নম্বর আসন পেতে চলেছেন তিনি। তাঁর পিছনে থাকবেন বাকি তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু শনিবার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, তৃণমূলের বাকি সাংসদদের আসন সংখ্যা এক থাকলেও দলনেতার আসন ২৭৮ এর বদলে ৩৫৪ হয়ে গিয়েছে। ফলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে শুধুমাত্র অখিলেশের পার্টির সাংসদরাই।
এই খবরটিও পড়ুন
এই নিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লোকসভায় আসন বণ্টন নিয়ে জুন মাসে চিঠি পেয়েছিলাম। গত ২৩ জুলাই উত্তর দিই। এখন দেখি লোকসভায় তৃণমূলের নেতা এক জায়গায়। এবং অন্যরা আর এক জায়গায়। এটা ভুল সিদ্ধান্ত। আমার সাংসদ জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি।” তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার লোকসভায় তৃণমূলের কোনও সাংসদ নির্ধারিত আসনে বসবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে তৃণমূল সাংসদরা।
এদিকে আসন বণ্টন ইস্যুকে হাতিয়ার করে ফের ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলকে পাশে পেতে মরিয়া কংগ্রেস। তড়িঘড়ি সোমবার সকাল দশটায় ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হল তৃণমূলকেও। আসনবণ্টন ইস্যুতে প্রতিবাদের রূপরেখা ঠিক করতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন কংগ্রেসের লোকসভার ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈ। আসন বণ্টন ইস্যুতে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন কংগ্রেসের লোকসভার ডেপুটি লিডার। এদিকে স্বতন্ত্রভাবে স্পিকারকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানাতে চলেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।