Supreme Court on Tripura: ‘নির্বাচন স্থগিত চরম এবং শেষ পদক্ষেপ’, ২৫ নভেম্বরই ত্রিপুরায় পৌরভোটের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Tripura Municipal Election: ভোট স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করলেও ত্রিপুরা পুলিশকে কার্যত সতর্ক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ভোটগ্রহণ পর্ব থেকে শুরু করে ফল ঘোষণা, গোটা প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশকে।
নয়া দিল্লি ও আগরতলা : ত্রিপুরার পৌরভোট (Tripura Local Body Polls) স্থগিত করা যাবে না। আজ এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তৃণমূলের তরফে ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে বার বার যে বাধার সম্মুখীন হয়েছে, সেই কথা তুলে ধরে পৌরভোটের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই আবেদন খারিজ করার সময় জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় নির্বাচন স্থগিত রাখাটা একটি চরম পদক্ষেপ। যদি অন্য আর কোনও উপায় না থাকে, একমাত্র তাহলেই একেবারে শেষ উপায় হওয়া উচিত এটি।
উল্লেখ্য আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ, ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পৌরভোট রয়েছে। ভোট স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করলেও ত্রিপুরা পুলিশকে কার্যত সতর্ক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ভোটগ্রহণ পর্ব থেকে শুরু করে ফল ঘোষণা, গোটা প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশকে।
আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি বিক্রম নাথ তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন,”নির্বাচন স্থগিত রাখা একেবারে শেষ এবং চরম উপায়। বরং নির্বাচন স্থগিত না করে আমাদের এটি বিবেচনা করতে হবে, ত্রিপুরা প্রশাসন কীভাবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে আবেদনকারীর আশঙ্কার জায়গাগুলির যথাযথভাবে প্রতিকার করা যেতে পারে এবং পৌর নির্বাচনের বাকি পর্যায়গুলি নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করা যেতে পারে।”
একইসঙ্গে কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব না করে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশকে। তৃণমূলের তরফে তাদের কর্মী ও দলীয় প্রার্থীরা প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার যে অভিযোগ তো হচ্ছে, সেগুলিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য ৩ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েত – মোট ২০ টি পুর ও নগর সংস্থায় আসন রয়েছে ৩৩৪টি।
৩৩৪টি আসনের জন্য মোট ৮২৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপি থেকে ৩৩৬, তৃণমূলের ১২৫, সিপিএম ২১৪, সিপিআই ৬, আরএসপি ২, ফরওয়ার্ড ব্লক ৫, কংগ্রেস ১০১, নির্দল ৩২ এবং অন্যান্য ৮ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদিকে শান্তিরবাজার, উদয়পুর, বিশালগড়, মোহনপুর ও রানির বাজার পুর পরিষদে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বামেরা। একইসঙ্গে জিরানিয়া ও কমলপুর নগর পঞ্চায়েতেও প্রাথী দিতে পারেনি না তারা। জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে ১১টি আসনের মধ্যে মাত্র ১ টি অন্যরা প্রার্থী দিয়েছে। আর শান্তিরবাজার পুর পরিষদে ১৫টির মধ্যে ৬টিতে নির্দল প্রাথী দিয়েছে। বাকিগুলিতে একটিতেও বিরোধীরা মনোননয়ন দিতে পারেনি।