Tripura BJP : ‘শিশুসুলভ নেতৃত্ব’, ত্রিপুরার পৌরভোটের আগে বিপ্লবের অস্বস্তি বাড়ালেন বিজেপি বিধায়ক
Sudip Roy Barman: বিজেপির ত্রিপুরার নেতৃত্বের বিষয়ে কিছুটা বক্রোক্তির সুরেই বিধায়ক বলেন, "শিশুসুলভ নেতৃত্ব। আসল শত্রুকে চিনতে পারছে না।"
আগরতলা : ত্রিপুরায় পৌরভোটের আগে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এবার দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। বিপ্লব দেবের নেতৃত্ব নিয়েও যে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট নন, তাও আজ ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন সুদীপ বাবু। তাঁর মতে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্ব শিশুসুলভ। যদিও সরাসরি বিপ্লব দেবের নাম করেননি তিনি। বিজেপির ত্রিপুরার নেতৃত্বের বিষয়ে কিছুটা বক্রোক্তির সুরেই বলেন, “শিশুসুলভ নেতৃত্ব। আসল শত্রুকে চিনতে পারছে না।” আর এখানে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব বলতে যে তিনি কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি পৌরভোটের আগে বারবার ত্রিপুরায় শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। বিশেষ করে তৃণমূল শিবির থেকে সবথেকে বেশি অভিযোগ এসেছে। তপ্ত ত্রিপুরার আঁচ গিয়ে পড়েছে দিল্লির রাজনীতিতেও। আর এই নিয়েই এবার সাংবাদিক বৈঠক করে দলের নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করলেন সুদীপ রায় বর্মণ। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের অবক্ষয় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “সব কা সাথ, সব কা বিকাশ হলে এত হিংসার প্রয়োজন হচ্ছে কেন? গণতন্ত্র আর অবশিষ্ট নেই ত্রিপুরায়।” বিপ্লব দেবের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আরও এক ধাপ সুর চড়িয়ে বলেন, “ত্রিপুরার বর্তমান নেতৃত্ব বিকাশের উপর ভরসা রাখলে রাজ্যে এই ভাবে ভোট হত না।”
ত্রিপুরায় তৃণমূল সহ বিরোধী দলগুলির উপর সম্প্রতি যে আক্রমণ হয়েছে, তারও তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি বিধায়ক। তবে এই ঘটনার দায় আদি বিজেপি কর্মীদের নয় বলেই মত তাঁর। সুদীপ রায় বর্মণের কথায়, সিপিএম-এর গুন্ডারা বিজেপিতে ঢুকেছে। সেই কারণে এত হিংসা। সিপিএমের গুন্ডারা এখন বিজেপির হয়ে হামলা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। এই জার্সি বদল করা গুন্ডারাই সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এই গুন্ডাদের জন্য দলের বদনাম হচ্ছে, ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।”
কিন্তু কেন হঠাৎ এভাবে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন বিজেপি বিধায়ক? এতে কি ভোটের আগে দলের অস্বস্তি বাড়বে না? প্রশ্ন করায় সুদীপ রায় বর্মণের সাফ বক্তব্য, “কেন দলকে অস্বস্তিতে ফেলব? আমি তো মানুষের হয়ে কথা বলছি। আমি সেই সব বিজেপি কর্মীদের হয়ে কথা বলছি, যাঁরা এই একই জিনিস মনে করছেন, কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।”
উল্লেখ্য, সুদীপ রায় বর্মণ এই প্রথমবার দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন, এমনটা নয়। এর আগেও দলের বিরুদ্ধে বেসুরো হয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের অগস্টে যখন ত্রিপুরা মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়েছিল, নতুন করে তিনজনকে জায়গা দেওয়া হয়েছিল বিপ্লবের ক্যাবিনেটে। কিন্তু সেই তালিকায় নাম ছিল না সুদীপ রায় বর্মণের। সেই সময়ও বিপ্লবের অধীনে কাজ করতে চান না বলে মন্তব্য করেছিলেন সুদীপ।