Tripura BJP: ত্রিপুরার ভোটপর্ব মিটলেই সুদীপের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বিজেপি
Sudip Roy Barman: পৌরভোটের পর্ব মিটে গেলে তারপরই বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের উপর কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য বিজেপি। অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।
আগরতলা : আজ সকালেই বোমা ফাটিয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। একেবারে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কারও নাম না করলেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। আর এই নিয়েই এবার তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে ত্রিপুরার বিজেপি শিবির। তবে এখনই না। পৌরভোটের পর্ব মিটে গেলে তারপরই বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের উপর কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য বিজেপি। অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।
আজ সুদীপ বাবু সাংবাদিক বৈঠক করার পরেই কার্যত এমন হাতেগরম ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে কোনও খামতি রাখেনি তৃণমূল। লোপ্পা বলে ছক্কা হাঁকিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরেই বলেছিলেন, এবার সুদীপ রায় বর্মণকে বহিষ্কার করে দেখাক বিজেপি। আর তাই নিয়েই এবার বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “সুদীপকে বহিষ্কার করা হবে কি না সেটা কুণাল ঘোষ বলবেন ? তা কখনও হয়! নির্বাচন শেষ হলেই দেখে নেবেন, পার্টি কী ব্যবস্থা নেয়।” অর্থাৎ, ভোটের আগে দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে বিষ উগরে দেওয়া যে মোটেই হালকাভাবে দেখা হচ্ছে না, তা ভাল করেই বুঝিয়ে দিয়েছে ত্রিপুরা বিজেপি।
সুদীপ রায় বর্মণ প্রসঙ্গে আজ বিকেলে সুব্রত চক্রবর্তী আরও বলেন, “তৃণমূল শেষ মুহূর্তে ইন্ধন পেয়ে গেল বিজেপির এই কর্মকর্তার বক্তব্যে। যে কমিটি গড়া হয়েছিল, তাতে ওনারাও ছিলেন। কিন্তু নিরব ছিলেন। আজ শেষ লগ্নে কেন এত সরব? সুদীপ বাবু বলেছেন, বিজেপিতে বহু সিপিএম ঢুকে পড়ে সন্ত্রস করছে। জানতেন যখন, তবে দলকে জানাননি কেন?” তাঁর আরও বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে যেভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তবে কি বিরোধীদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই শেষ লগ্নে এসে এভাবে ‘হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন’ সুদীপ রায় বর্মণ? ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা বিজেপির অন্দরে এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন তুলেছেন ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নিজেও।
উল্লেখ্য, আজ সকালে বিজেপির ত্রিপুরার নেতৃত্বের বিষয়ে কিছুটা বক্রোক্তির সুরেই সুদীপ রায় বর্মণ বলেছিলেন, “শিশুসুলভ নেতৃত্ব। আসল শত্রুকে চিনতে পারছে না।” আর এখানে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব বলতে যে তিনি কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের অবক্ষয় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “সব কা সাথ, সব কা বিকাশ হলে এত হিংসার প্রয়োজন হচ্ছে কেন? গণতন্ত্র আর অবশিষ্ট নেই ত্রিপুরায়।” বিপ্লব দেবের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আরও এক ধাপ সুর চড়িয়ে বলেন, “ত্রিপুরার বর্তমান নেতৃত্ব বিকাশের উপর ভরসা রাখলে রাজ্যে এই ভাবে ভোট হত না।”