TV9 Satta Sammelan: কেন কেউ রাহুল গান্ধীকে ‘সিরিয়াসলি’ নেয় না? TV9-এর মঞ্চে বোঝালেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

TV9 Satta Sammelan: প্রধানমন্ত্রী মোদী গ্যারান্টি দিচ্ছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৪০০ আসনে জয়ী হবে এনডিএ। অপর দিকে, রাহুল গান্ধীর তিন গ্যারান্টি - কৃষকদের জন্য এমএসপি, সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমার অবসান এবং দেশব্যাপী জাতিভিত্তিক জনগণনা। ভটবাক্সে কতটা প্রভাব পড়তে পারে রাহুলের এই গ্যারান্টির? এরই জবাবে, এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্যাখ্যা করলেন, কেন রাহুল গান্ধীকে সিরিয়াসলি নেয় না দেশের মানুষ।

TV9 Satta Sammelan: কেন কেউ রাহুল গান্ধীকে 'সিরিয়াসলি' নেয় না? TV9-এর মঞ্চে বোঝালেন ধর্মেন্দ্র প্রধান
TV9 সত্তা সম্মেলনের মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Feb 27, 2024 | 5:46 PM

নয়া দিল্লি: ‘রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসেই কেউ সিরিয়াসলি নেয় না। তাই দেশের মানুষ কীভাবে তাঁকে সিরিয়াসলি নেবে?’ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি), TV9 ভারতবর্ষের সত্তা সম্মেলনে ‘রাহুল গান্ধীর গ্যারান্টি’ নিয়ে প্রশ্ন করতেই এই কথা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রধানমন্ত্রী মোদী গ্যারান্টি দিচ্ছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৪০০ আসনে জয়ী হবে এনডিএ। অপর দিকে, রাহুল গান্ধীর তিন গ্যারান্টি – কৃষকদের জন্য এমএসপি, সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমার অবসান এবং দেশব্যাপী জাতিভিত্তিক জনগণনা। ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব পড়তে পারে রাহুলের এই গ্যারান্টির? এরই জবাবে, এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্যাখ্যা করলেন, কেন রাহুল গান্ধীকে সিরিয়াসলি নেয় না দেশের মানুষ।

তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধীকে কেউ এই দেশে সিরিয়াসলি নেয় না। তাঁর দলের নেতারাই তাঁকে সিরিয়াসলি নেয় না। তো দেশের মানুষ কীভাবে নেবে? তাই আমিও তাঁর কথাকেও গুরুত্ব দিই না।” এমএসপি অর্থাৎ, ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য নিয়ে এই মুহূর্তে আন্দোলন করছেন একাংশের কৃষকরাও। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ৫ বছরে মোদী সরকার ‘পিএম কিষাণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে ৬০০০ টাকা করে দিয়েছে। সেটা এমএসপি নয়, সরাসরি নগদ সুবিধা হিসেবে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।

ধর্মেন্দ্র প্রধানের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর দল তো দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল, তাহলে তারা কেন এমএসপি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি? তিনি নিজ রাজ্য ওড়িশার কথা জানান। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ, ইউপিএ আমলে সরকার ওড়িশায় ৩০০-৩৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছিল। এর জন্য কৃষকরা পেয়েছিলেন ৩৫০০০ কোটি টাকা। আর মোদীর আমলে, গত ১০ বছরে ৬৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে সরকার। কৃষকদের ঘরে গিয়েছে, ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা! এর পাশাপাশি কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে, কৃষকদের পাশপাশি, মৎসজীবী, পশুপালকদেরেও অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে।

রাহুল গান্ধীর দ্বিতীয় গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সীমা উঠিয়ে দেওয়া। ১৯৯২ সালে কোটা সংরক্ষণের এই সীমা আরোপ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “রাহুলের কিছু মৌলিক সমস্যা আছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাহুল মুখে এক কথা বলেন, কাজের ক্ষেত্রে তা করেন না। কর্নাটক নির্বাচনের আগে তিনি সদাশিব আয়োগের সুপারিশ প্রয়োগ করার কথা বলেছিলেন। নির্বাচনের পর আর সেই কথা শোনা যায় না তাঁর মুখে। এই কারণেই রাহুল গান্ধীকে কেউ সিরিয়াসলি নেয় না বলে দাবি করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।

রাহুল গান্ধীর তৃতীয় গ্যারান্টি, জাতিভিত্তিক জনগণনার বিষয়ে তিনি বলেন, “রাহুল আজ ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে অনেক কথা বলেন। অথচ, জওহরলাল নেহরু সংরক্ষণের পুরোপুরি বিরোধী ছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠিতে কী লিখেছিলেন, সম্প্রতি লোকসভায় প্রদানমন্ত্রী মোদী তা জানিয়েছেন। ভিপি সিংয়ের সময় যখন মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ প্রয়োগ করা হয়েছিল, ওই সময় লোকসভায় রাজীব গান্ধী কী বলেছিলেন, তা এখন পাবলিক ডোমেনে রয়েছে। সেটা রাহুলের পড়া উচিত। আসলে, তাঁর কিছু নতুন উপদেষ্টা জুটেছে। অনেকে কেজরীবালকে নিয়ে হতশ হয়ে তাঁর কাছে গিয়েছেন। তারাই তাঁকে এইসব শেখাচ্ছেন, আর তিনিও বলে চলেছেন।