Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dwarka City-Modi: সমুদ্রের নীচে কী দর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী? কীভাবে যেতে পারেন আপনি?

Dwarka City-Modi: পৌরানিক কাহিনি অনুযায়ী, এই দ্বারকা নগরী তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা আর সেই নগরীতে বাস ছিল কৃষ্ণের। কিন্তু কৃষ্ণ ও বলরাম ইহলোক ত্যাগ করার পর নাকি জলের নীচে ডুবে যায় গিয়েছিল সেই নগরী। আজ সেখানেই রয়েছে দ্বারকা, রয়েছে কৃষ্ণের মন্দির। তবে তা প্রাচীন দ্বারকা নয়।

Dwarka City-Modi: সমুদ্রের নীচে কী দর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী? কীভাবে যেতে পারেন আপনি?
সমুদ্রের নীচে দ্বারকায় মোদীImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Feb 28, 2024 | 6:22 AM

দ্বারকা: সম্প্রতি দ্বারকা নগরীতে তৈরি হয়েছে সুদর্শন সেতু। মূল শহরের সঙ্গে ওখা অঞ্চলের সংযোগ স্থাপনের জন্য় তৈরি হয়এছে এই কেবল ব্রিজ। সেই সেতু উদ্বোধন করতে গিয়ে সমুদ্রের তলায় নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘স্কুবা ডাইভিং’ করে সোজা নেমে যান নীচে। হাতে ছিল ময়ূরের পালক। মোদী জানান, জলের নীচে কৃষ্ণের স্মৃতি বিজড়িত মূল দ্বারকা নগরী দর্শন করেন তিনি। সেখানেই রেখে আসেন ময়ূরের পালকটি। দ্বারকা নগরীর নাম অনেকেই শুনেছেন, বিখ্যাত দ্বারকাধীশ মন্দিরের কথাও জানেন সবাই। তবে জলের তলায় নিমজ্জিত আছে কোন ইতিহাস, তা জানা নেই অনেকেরই।

পৌরানিক কাহিনি অনুযায়ী, এই দ্বারকা নগরী তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা আর সেই নগরীতে বাস ছিল কৃষ্ণের। কিন্তু কৃষ্ণ ও বলরাম ইহলোক ত্যাগ করার পর নাকি জলের নীচে ডুবে যায় গিয়েছিল সেই নগরী। আজ সেখানেই রয়েছে দ্বারকা, রয়েছে কৃষ্ণের মন্দির। তবে তা প্রাচীন দ্বারকা নয়। আরব সাগরের সঙ্গে গোমতী নদী যেখানে মিশেছে, সেখানেই প্রায় ৮৪ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে সেই প্রাচীন শহর।

সেই নগরী দর্শন করতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মতোই স্কুবা ডাইভিং করতে হবে। বেট দ্বারকা নামে একটি দ্বীপ থেকে ওই স্কুবা ডাইভিং করতে হয়। সেখানে রয়েছে পুরনো দ্বারকা নগরীর ধ্বংসাবশেষ। প্রত্নতত্ত্ববিদরাই তা খুঁজে বের করেছিলেন। ওই অংশে সমুদ্রের জল স্বচ্ছ। নীচে দেখা যায় প্রবাল। দেখা মেলে ডলফিন, কচ্ছপ, অক্টোপাস ও স্টারফিশেরও।

এই দ্বীপে পৌঁছনোর রাস্তা রয়েছে শহর থেকে। নিকটবর্তী বিমানবন্দর হল জামনগর আর নিকটবর্তী রেল স্টেশন হল দ্বারকা। এখানে স্কুবা ডাইভিং করতে খরচ পড়ে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস হল সবথেকে ভাল সময়।

গত বছর ডিসেম্বর মাসে সাবমেরিন পরিষেবার উদ্যোগ নিয়েছে গুজরাট সরকার। ম্যাজাগন ডক শিপ বিল্ডিং ইয়ার্ডের সঙ্গে মউ চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে সরকার। পর্যটকদের জন্য বানানো হচ্ছে সাবমেরিন। তাতে চেপেই সমুদ্রের নীচে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। সমুদ্রের ১০০ ফুট নীচে যেতে পারবে সেই সাবমেরিন। নীচে নেমে দ্বারকা নগরী পরিদর্শন করতে পারবে পর্যটকেরা।