Kiren Rijiju on Sedition Law: ‘আমি হতাশ হয়েছিলাম’, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী

Kiren Rijiju on Sedition Law : মে মাসে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই দিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এই নির্দেশে হতাশ হয়েছিলেন।

Kiren Rijiju on Sedition Law: 'আমি হতাশ হয়েছিলাম', রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2022 | 5:27 PM

নয়া দিল্লি: এ বছর রাষ্ট্রদ্রোহ আইন (Sedition Law) স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। শীর্ষ আদালতের সেই সিদ্ধান্তে কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Union Law Minister)। শুক্রবার মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে বক্তব্য রাখার সময় তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে কিছু পরিবর্তন আনার কথা চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এই বছর শীর্ষ আদালতের তরফে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিত করায় তিনি হতাশ হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এই বছর মে মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ একটি রায় দিয়েছিল। এদিন ইন্ডিয়া টুডের কনক্লেভ থেকে সেই রায়ের কথাই উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। এই বেঞ্চ সেই সময় নির্দেশ দিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিষয়ে পুনরায় বিবেচনা না করা পর্যন্ত ১৫২ বছরের পুরনো এই আইন প্রয়োগ স্থগিত করা হল। তবে উল্লেখ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার অধীনে এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল করা হয়নি। বরং যতদিন না এই আইনের ঔপনিবেশিক বিধানগুলি সরকার পুনর্বিবেচনা করছে ততদিন এই আইন প্রয়োগ করা যাবে না।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু জানিয়েছেন, যদি সরকার এই বিষয়ে জেদ ধরে থাকত তাহলে বিচারব্যবস্থা এই বিষয়ে আরও কঠোর হত। তবে সরকার ইতিমধ্য়েই জানিয়েছিল যে তারা এই আইনটি পুনর্বিবেচনা করে দেখছে। এই আবহে শীর্ষ আদালত ফের এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টি ভাল দেখাচ্ছে না। এদিকে তিনি আরও বলেছেন, সবার জন্য একটি লক্ষ্মণ রেখা রয়েছে। জাতির স্বার্থে সেই রেখা অতিক্রম করা উচিত নয়। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, কার্যনির্বাহী বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বিচার বিভাগের। ভারতের সংবিধান অনুসারে বিচার বিভাগের এই কাজ করার কথাও নয়। এতে তিনটি স্তম্ভের কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।