Uttar Pradesh: মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করায় নিরাশ বাবা-মা! দেহ টুকরো করে নদীতে ভাসাল ছেলে
UP Man Kills Parents: করোনার সময় থেকে বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন সে। কলকাতায় এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করায় অখুশি অম্বেশের পরিবার। ধর্মের বেড়াজাল টপাকানো সন্তানকে মেনে নিতে পারেননি ওই প্রৌঢ় দম্পত্তি। তাই অম্বেশও আর সেই মুখো হননি। কলকাতাতেই স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকত সে। এর মাঝে দু'টি সন্তান হয় তাঁদের।

লখনউ: পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ। প্রৌঢ় দম্পত্তির খোঁজে হন্যি হয়ে পড়েছিল পুলিশ। যেন উধাও হয়ে গিয়েছে তাঁরা। প্রতিদিনই থানায় এসে খোঁজ নিয়ে যাচ্ছে তাঁদের মেয়ে। ফিরছে নিরাশ মুখে। বাবা-মা কোথাও গেল, তা সেও বুঝতে পারছে না। এর মধ্য়েই ওই প্রৌঢ়ের ছেলেকে তলব করল পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্য়ে ভয়াবহ তথ্য। ছেলের হাতেই খুন হয়েছে বাবা-মা। শুধু খুন করেই ছাড়েনি সে। প্রমাণলোপাটে দেহ কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। যা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য।
ঘটনা উত্তর প্রদেশের জৌনপুরের। সেখানেই থাকতেন ওই প্রৌঢ় দম্পত্তি। মেয়ে বিবাহিত। বেশ কয়েকদিন ধরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও খোঁজ পায় না সে। অবশেষে গত ১৩ ডিসেম্বর দ্বারস্থ হয় থানায়। দায়ের করেন ‘মিসিং ডায়েরি’। এরপর তদন্তে নেমে ওই প্রৌঢ় দম্পত্তির এক পুত্র সন্তানের হদিশ পান তদন্তকারীরা। নাম অম্বেশ।
করোনার সময় থেকে বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন সে। কলকাতায় এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করায় অখুশি অম্বেশের পরিবার। ধর্মের বেড়াজাল টপাকানো সন্তানকে মেনে নিতে পারেননি ওই প্রৌঢ় দম্পত্তি। তাই অম্বেশও আর সেই মুখো হননি। কলকাতাতেই স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকত সে। এর মাঝে দু’টি সন্তান হয় তাঁদের।
তিন মাসের কথা। আচমকাই কলকাতা ছেড়ে উত্তর প্রদেশের বাড়িতে যান অম্বেশ। কী কারণে সে চলে এসেছিল তা জানা যায়নি। তবে সাংসারিক জীবন নিয়ে বেশ ক্লান্ত ছিল অম্বেশ, দাবি প্রতিবেশীদের। গত ৮ই ডিসেম্বর ফের একবার মা ববিতা এবং বাবা শ্যাম বাহাদুরের সঙ্গে বিবাদ হয় তাঁর। পারদ এতটাই তুঙ্গে উঠে যায় যে বচসা পরিণত হয় হাতাহাতিতে। নিজের মায়ের উপর চড়াও হন অম্বেশ। লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে সে। দড়ি দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে বাবা শ্যাম বাহাদুরের। ক্ষণিকের টানাপোড়েন। মৃত্যু হয় দু’জনের।
এরপর প্রমাণলোপাটের জন্য প্রথমে বাবা-মায়ের দেহটিকে চপার দিয়ে তিন টুকরো করেন অম্বেশ। তারপর দু’টি দেহকে ছ’টি সিমেন্টের ব্যাগে ভরে সেগুলিকে নিজের গাড়িতে চাপিয়ে নদীতে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। সম্প্রতি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্যগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারপরই গ্রেফতার করা হয়েছে অম্বেশকে।
