UP Horror: গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রেম, শাস্তি দিতে এ কী করল মা!
Axe attack: শিবপতির আরেক নাবালিকা মেয়েও গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ। সে পালিয়েছে নাকি তারও দিদির মতো পরিণতি হয়েছে, তা নিয়ে সন্দিহান গ্রামবাসী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মীরা এবং শিবপতির ছোট মেয়ের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে এসপি জানিয়েছেন।
লখনউ: ফের অনার কিলিং! এবার গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রেম করেছিল কিশোরী। সেই ‘অপরাধে’ নাবালিকা মেয়েকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করতেও হাত কাঁপল না মায়ের। শুধু হত্যা করা নয়, প্রমাণ লোপাট করতে মেয়ের দেহ মাঠের পাশে কুয়োয় ফেলে দেয় মা। তারপর সন্দেহ এড়াতে থানায় মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্ত মা। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কৌশম্বি জেলায়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার ২৭ দিন পর অভিযুক্ত মা-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃত মহিলার নাম শিবপতি। কৌশম্বি জেলার তেজবাপুর গ্রামের বাসিন্দা শিবপতি নিজের ১৫ বছরের মেয়েকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দেহটি কুয়োয় ফেলে দেয়। তারপর মানঝানপুর থানায় গিয়ে মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনাটি ২ অক্টোবর রাতে ঘটলেও ৩০ অক্টোবর প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি ব্রিজেশ কুমার শ্রীবাস্তব। তিনি জানান, পুলিশি জেরায় ধৃত অপারাধের কথা স্বীকার করেছে।
এসপি জানান, শিবপতি থানায় গিয়ে তার নাবালিকা মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে গত ১৪ অক্টোবর। অভিযোগপত্রে সে জানায়, গত ২ অক্টোবর মেয়ে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপর গত ২৬ অক্টোবর গ্রামবাসী পুলিশকে জানায়, তেজবাপুর গ্রামের বাইরে মাঠের পাশে একটি কুয়োয় এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করলে শিবপতি সেটি শনাক্ত করে। কিশোরীকে যে হত্যা করে দেহ কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা প্রাথমিক তদন্তেই বুঝতে পারে পুলিশ। এরপর খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
তদন্তে নেমে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, কিশোরী হত্যায় মূল অভিযুক্ত তার মা শিবপতি। এরপর সোমবার শিবপতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারির পর অপরাধের কথা স্বীকার করেছে খুনি মা। তার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেয়ে গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রেম করার জন্যই কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে শিবপতি। তাকে এই কাজে পুত্রবধূ মীরা সাহায্য করেছিল বলেও শিবপতির অভিযোগ।
এদিকে, শিবপতি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মীরা পলাতক। এমনকি শিবপতির আরেক নাবালিকা মেয়েও গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ। সে পালিয়েছে নাকি তারও দিদির মতো পরিণতি হয়েছে, তা নিয়ে সন্দিহান গ্রামবাসী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মীরা এবং শিবপতির ছোট মেয়ের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে এসপি জানিয়েছেন।