UP Crime News: স্ত্রী নিয়মিত নেশা করে, পরের বাড়িতে রাত কাটায়…, সবক শেখাতে দেহ কুচি কুচি করল স্বামী

UP Murder: গত ৮ নভেম্বর সীতাপুর জেলার রামপুর কালান এলাকা থেকে এক যুবতীর খণ্ড-বিখণ্ড দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহের একাধিক টুকরো বিভিন্ন জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকায় প্রথমে চিহ্নিতকরণে সমস্যা হয়। পরে জানা যায়, ওই দেহটি জ্যোতি ওরফে স্নেহা নামক এক যুবতীর।

UP Crime News: স্ত্রী নিয়মিত নেশা করে, পরের বাড়িতে রাত কাটায়..., সবক শেখাতে দেহ কুচি কুচি করল স্বামী
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 8:17 PM

লখনউ: দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের (Shraddha Walker Murder Case) রেশ যেন কাটতেই চাইছে না। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দিল্লির নৃশংস খুন ও দেহ কেটে টুকরো করার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)। এক যুবক প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুন করে, দেহ ৬টুকরো করে। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হতে না হতেই ফের একই ধরনের আরেকটি খুনের ঘটনাও সামনে এল। এবারও ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশ। সে রাজ্যের সীতাপুরের বাসিন্দা এক মহিলাকে খুন করে দেহ কুচিকুচি করে দূরে ফেলে দিল তাঁর স্বামীই। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর সীতাপুর জেলার রামপুর কালান এলাকা থেকে এক যুবতীর খণ্ড-বিখণ্ড দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহের একাধিক টুকরো বিভিন্ন জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকায় প্রথমে চিহ্নিতকরণে সমস্যা হয়। পরে জানা যায়, ওই দেহটি জ্যোতি ওরফে স্নেহা নামক এক যুবতীর। তাঁর স্বামীর নাম পঙ্কজ মৌর্য। স্ত্রীর কাটা দেহ উদ্ধার নিয়ে একাধিক গল্প ফাঁদলেও, বারংবার বয়ান বদল করায় বিশ্বাস করেনি পুলিশ। পরে কড়া জেরার মুখে পড়ে পঙ্কজ স্বীকার করে নেন তিনিই স্ত্রীকে খুন করেছেন। এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে সেই দেহ বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসে। আশেপাশেই জঙ্গল থাকায়, বুনো জন্তু এসে সেই দেহের টুকরোগুলি খেয়ে নেবে, এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই দেহের টুকরো স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে।

জেরায় পঙ্কজ জানায়, বন্ধুর সাহায্য নিয়েই স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি। অভিযুক্তের দাবি, তাঁর স্ত্রী স্নেহা ওরফে জ্যোতি নিয়মিত মাদক সেবন করত। রাতের পর রাত অপর একজনের বাড়িতে থাকতেন। নেশা করা ও বাড়ির বাইরে রাত কাটানো নিয়ে তিনি একাধিকবার স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল বচসাও হত মাঝে-মধ্যে, সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছিল। বিয়ের ১০ বছর পরে তাঁর সন্দেহ হয়, স্ত্রীর অন্য কারোর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সম্পর্ক রয়েছে। সেই রাগেই তিনি এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন। এরপর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেন। স্থানীয় পুলিশ ও উত্তর প্রদেশ পুলিশ স্পেশাল ওয়েপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস বা সোয়াট শাখার যৌথ তদন্তেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।