Rahul Gandhi: ‘তিরঙ্গাকে কেউ আটকাতে পারবে না’, মধ্য প্রদেশে পৌঁছতেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি রাহুলের

Bharat Jodo Yatra: বুরহানপুরের জনসভা থেকে রাহুল বলেন, "আমরা ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছি কারণ সমস্ত গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা, নির্বাচন, সংবাদ মাধ্যম, সব পথ বন্ধ।"

Rahul Gandhi: 'তিরঙ্গাকে কেউ আটকাতে পারবে না', মধ্য প্রদেশে পৌঁছতেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি রাহুলের
মধ্য প্রদেশে রাহুল গান্ধী। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 6:35 AM

ভোপাল: ধীরে ধীরে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। বুধবার সকালেই রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই পদযাত্রা মহারাষ্ট্র থেকে মধ্য প্রদেশে প্রবেশ করে। সেখানে পৌঁছেই রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেন, “এই যাত্রা আসলে সমাজে যে হিংসা, ঘৃণা ও ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে,তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমরা হাতে তিরঙ্গা নিয়ে কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রা শুরু করেছিলাম, কেউএই তিরঙ্গাকে শ্রীনগর পৌঁছানো থেকে আটকাতে পারবে না।” একইসঙ্গে তিনি বিজেপিকেও আক্রমণ করেন। ২০২০ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ২০ জনেরও বেশি বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই মধ্য প্রদেশে কংগ্রেসের সরকার ভাঙে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আক্রমণ করেন রাহুল।

মধ্য প্রদেশে কংগ্রেসের সরকারের পতন নিয়ে ক্ষোভ উগরে রাহুল গান্ধী বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কদের বিজেপি কিনে নেয়, তারই একটি আদর্শ উদাহরণ মধ্য প্রদেশ। আমরা মধ্য প্রদেশের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম। এটা আমাদের ছিল। কিন্তু ওরা (বিজেপি) ২০-২৫ জন দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয় এবং সরকার গঠন করে।”

বুরহানপুরের জনসভা থেকে রাহুল বলেন, “আমরা ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছি কারণ সমস্ত গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা, নির্বাচন, সংবাদ মাধ্যম, সব পথ বন্ধ। আরএসএস-বিজেপি সকলকে এক কোণে করে দিয়েছে, নিজেদের লোকজন দিয়ে প্রতিষ্ঠান ভর্তি করে দিয়েছে। বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, আদালতের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তাই একটাই উপায় ছিল, পথে নামা। আমরা সাধারণ মানুষের কথা শুনতে চাই, কৃষকদের, শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাই।”

৩৫৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পদযাত্রা গত সেপ্টেম্বরে কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই যাত্রা মধ্য প্রদেশে প্রবেশ করেছে। কাশ্মীরে গিয়ে এই যাত্রা শেষ হবে। বুধবার বদারলি গ্রাম থেকে এই যাত্রা শুরু হয়। এই গ্রামের সঙ্গে নেহেরু-গান্ধী পরিবারের বিশেষ যোগ রয়েছে। রাহুল গান্ধীর ঠাকুমা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর ছেলে তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও সনিয়া গান্ধী একাধিকবার এই অঞ্চলে এসেছিলেন।