AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

২ দিনে খতম ২০ দুষ্কৃতী! যোগীরাজ্যে পুলিশ চালাল অপারেশন ‘ল্যাংড়া’ ও ‘খাল্লাস’

Encounter: জোড়া অপারেশনের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। অপারেশন ল্যাংড়া-র উদ্দেশ্য- কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের পায়ে গুলি করে, তারপর গ্রেফতার করা। আর অপারেশন খাল্লাস-এ দুষ্কৃতীদের সাজা শোনাতে সরাসরি গুলির নির্দেশ যোগীর। , গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে কমপক্ষে ২০টি এনকাউন্টার করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ।

২ দিনে খতম ২০ দুষ্কৃতী! যোগীরাজ্যে পুলিশ চালাল অপারেশন 'ল্যাংড়া' ও 'খাল্লাস'
যোগীরাজ্যে জোড়া অভিযান।Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2025 | 12:23 PM
Share

লখনউ: এক কথায় নজিরবিহীন! অপরাধ দমনে উত্তর প্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh Police) অভাবনীয় সাফল্য। গত ৪৮ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২০ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে এনকাউন্টারে খতম করল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (CM Yogi Adityanath) নির্দেশ পেয়ে চূড়ান্ত তৎপর পুলিশ, চালাল জোড়া অপারেশন। ‘অপারেশন ল্যাংড়া’ ও ‘অপারেশন খাল্লাস’ গোবলয়ে দুষ্কৃতীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

গোটা রাজ্য জুড়েই গত ২ দিন ধরে অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। যার নেতৃত্বে খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মেরঠ থেকে মুজফ্ফরনগর– চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জোড়া অপারেশনের নির্দেশও মুখ্যমন্ত্রীর-ই। অপারেশন ল্যাংড়া-র উদ্দেশ্য- কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের পায়ে গুলি করে, তারপর গ্রেফতার করা। আর অপারেশন খাল্লাস-এ দুষ্কৃতীদের সাজা শোনাতে সরাসরি গুলির নির্দেশ যোগীর।

সূত্রের খবর, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে কমপক্ষে ২০টি এনকাউন্টার করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ। এক শহর থেকে আরেক শহর- খুঁজে খুঁজে কুখ্যাত অপরাধীদের গুলি করে নিকেশ করছে পুলিশ। লখনউ থেকে গাজিয়াবাদ জুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে এই ঘটনায়।

শুরুটা হয়েছে ফিরোজাবাদ থেকে। ২ কোটি টাকা লুট করে পালানো এক কুখ্যাত অপরাধীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে যায়। প্রথমে তাকে ঘিরে ফেলে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন ভারতের প্রাক্তন অলিম্পিক কুস্তিগীর এএসপি অনুজ চৌধুরী। আচমকাই ওই দুষ্কৃতী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। ভাগ্যক্রমে গুলি এসে অনুজ চৌধুরীর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে আটকে যাওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপরেই পাল্টা পুলিশের গুলিতে ওই দুষ্কৃতী নিহত হয়।

এরপর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে সাহারানপুরও। ইমরান নামের এক দুষ্কৃতীকে খুঁজে দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ১৩টি অপরাধের মামলা চলছিল। পুলিশকে দেখে মোটরসাইকেলে চেপে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়।

শুধু নিকেশ-ই নয়, অপারেশন ল্যাংড়া-তে বহু দুষ্কৃতীকে জখম করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লখনউতে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক দুষ্কৃতীকে নিকেশ করেছে পুলিশ। গাজিয়াবাদে নিকেশ খুনে অভিযুক্ত এক দুষ্কৃতী। উত্তর প্রদেশের প্রায় সর্বত্রই গত ২ দিন ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। বুলন্দশহর, বাগপত, বালিয়া, আগ্রা- বাদ নেই কোনও শহর। কোথাও দুষ্কৃতীকে তাড়া করে গুলি করে নিকেশ, কোথাও আবার আহত করে গ্রেফতার করেছে যোগীর পুলিশ। পরিসংখ্যান বলছে, যোগীর শাসনে ২০১৭ থেকে আজ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি এনকাউন্টারে ২৩৯ জন দুষ্কৃতীকে নিকেশ করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ৩১ হাজারেরও বেশি অপরাধী।