Maharashtra assembly election: বিরোধীদের উড়িয়ে দিয়েও পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি, ফিরে দেখা মহারাষ্ট্রের ‘কুর্সি কি কাহানি’
Maharashtra assembly election: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল মনোবল বাড়িয়েছিল মহাবিকাশ আঘাড়ির। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ভোটাররা মহাযুতির দিকে তাঁদের সমর্থন উজাড় করে দেন। মহারাষ্ট্রে মোট বিধানসভা আসন ২৮৮। মহাযুতি পায় ২৩৫টি আসন। তার মধ্যে বিজেপি একাই ১৩২টি আসন জেতে। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা পায় ৫৭টি আসন। আর এনসিপি জেতে ৪১টি আসনে। সেখানে মহাবিকাশ আঘাড়ি পায় মাত্র ৫০টি আসন।
মুম্বই: খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধীরা। মহাযুতির দাপটে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পাওয়ারের এনসিপি। ২০০-র বেশি আসন পাওয়া মহাযুতিতে খুশির হাওয়া। তারপরও বছরের শেষ প্রান্তে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে টানাপোড়েন। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন দড়ি টানাটানি চলে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ঠিক হলেও মন্ত্রিসভা নিয়ে ফের দর কষাকষি। অবশেষে নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ। ফিরে দেখা যাক মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের খুঁটিনাটি।
মহাযুতি বনাম মহাবিকাশ আঘাড়ি-
একদিকে বিজেপি, শিবসেনা ও এনসিপির মহাযুতি জোট। অন্যদিকে, কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পাওয়ারের এনসিপির মহাবিকাশ আঘাড়ি। কোন জোট টেক্কা দেবে? নির্বাচনের কয়েকমাস আগে থেকেই শুরু হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে মহাযুতিকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল মহাবিকাশ আঘাড়ি। মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ৩০টি পেয়েছিল তারা। আর মহাযুতি পায় ১৭টি আসন। ফলে লোকসভা ভোটের কয়েকমাসের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনে কী হবে, তা নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু হয়।
এই খবরটিও পড়ুন
মহাযুতি ঝড়ে উড়ে গেল মহাবিকাশ আঘাড়ি-
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল মনোবল বাড়িয়েছিল মহাবিকাশ আঘাড়ির। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ভোটাররা মহাযুতির দিকে তাঁদের সমর্থন উজাড় করে দেন। মহারাষ্ট্রে মোট বিধানসভা আসন ২৮৮। মহাযুতি পায় ২৩৫টি আসন। তার মধ্যে বিজেপি একাই ১৩২টি আসন জেতে। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা পায় ৫৭টি আসন। আর এনসিপি জেতে ৪১টি আসনে। সেখানে মহাবিকাশ আঘাড়ি পায় মাত্র ৫০টি আসন। একশোর বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস ১৬টি আসনে জেতে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা পায় ২০টি আসন। আর শরদ পাওয়ারের এনসিপি ১০টি আসনে জয়ী হয়।
মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টানাপোড়েন-
গত আড়াই বছর মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন একনাথ শিন্ডে। তাঁর দুই ডেপুটি ছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস ও অজিত পাওয়ার। ২৩ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণার পর জল্পনা শুরু হয়, এবার কে হবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী? একদিকে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস আর অন্যদিকে একনাথ শিন্ডে। শুরু হয় দুই দলের দড়ি টানাটানি। শেষ পর্যন্ত শিন্ডে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি তা মেনে নেবেন। শেষ হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টানাপোড়েন। গত ৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। আর উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন অজিত পাওয়ার ও একনাথ শিন্ডে।
মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়ে জট-
মুখ্যমন্ত্রী ও দুই উপমুখ্যমন্ত্রী শপথ নিলেও মন্ত্রিসভায় কোন দলের কত সদস্য থাকবেন, তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়। শেষপর্যন্ত ফল প্রকাশের প্রায় তিন সপ্তাহ পর মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার ৩৯ জন সদস্য শপথ নেন। গত ১৫ ডিসেম্বর নাগপুরে রাজভবনে হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। বিজেপির ১৯ জন, শিবসেনার ১১ জন ও এনসিপির ৯ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
মহারাষ্ট্রের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার কথা বললেন ফড়ণবীস-
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর দেবেন্দ্র ফড়ণবীস জানান, একনাথ শিন্ডে ও তাঁর শুধু ভূমিকা বদলেছে। মহারাষ্ট্রের উন্নয়নে তাঁরা একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, মন্ত্রিসভার সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আড়াই বছর পর তাঁদের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখা হবে। তাঁর কথায়, “প্রত্যেকের আলাদা করে কাজের মূল্যায়ন হবে। তার ভিত্তিতে তাঁরা আরও আড়াই বছর মন্ত্রী থাকবেন কি না, তা স্থির হবে।” পদ নিয়ে টানাপোড়েন শেষে মহারাষ্ট্রের উন্নয়নই যে তাঁদের লক্ষ্য, বছর শেষে সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন ফড়ণবীস।