UP Hospital: অ্যাম্বুল্যান্স দেয়নি হাসপাতাল, বাইকে চাপিয়ে বোনের মৃতদেহ নিয়ে গেলেন দাদা!
হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহী গাড়ি না পেয়ে বাইকে করেই বোনের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অঞ্জলির দাদা। তিনি অঞ্জলির দেহ ওড়নার দিয়ে নিজের সঙ্গে বেঁধে নেন। পিছনে বসান নিজের বোনকে। এ ভাবেই বোনের দেহ বাড়িতে নিয়ে যান। এই দৃশ্য দেখে স্বাভাবিক ভাবেই হতবাক হন হাসপাতালে উপস্থিতরা। তাঁরা সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন।
লখনউ: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় মৃত্যু হয়েছে বোনের। কিন্তু বোনের মৃতদেহ বাড়িতে আনার জন্য হাসপাতাল থেকে কোনও সাহায্য পেলেন না দাদা। বাধ্য হয়ে বোনের দেহ বাইকে বসিয়ে বাড়ি নিয়ে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি এই ছবি দেখা গিয়েছে উত্তর প্রদেশের সরকারি হাসপাতালে। সে রাজ্যের অরাইয়ার বিধানার সরকারি হাসপাতালে সম্প্রতি ঘটেছে এই ঘটনা। ওই যুবক যখন বোনের দেহ বাইকে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন সেই ছবি তুলেছিলেন সেখানে উপস্থিতরা। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তীব্র সমালোচনা করেছে উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার।
মৃত তরুণীর নাম অঞ্জলি (২০)। তিনি বিধুনার নবীন বস্তির বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে জল গরম করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এর জেরে গুরুতর আহত হন। তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিধানার ওই সরকারি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা অঞ্জলিকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েছিল মৃতের পরিবারের লোকেরা। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স নেই বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহী গাড়ি না পেয়ে বাইকে করেই বোনের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অঞ্জলির দাদা। তিনি অঞ্জলির দেহ ওড়নার দিয়ে নিজের সঙ্গে বেঁধে নেন। পিছনে বসান নিজের বোনকে। এ ভাবেই বোনের দেহ বাড়িতে নিয়ে যান। এই দৃশ্য দেখে স্বাভাবিক ভাবেই হতবাক হন হাসপাতালে উপস্থিতরা। তাঁরা সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই ছবি পৌঁছে যায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে।
বুধবার সকালে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। তা তুলে ধরে তীব্র সমালোচনা করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের হাসপাতাল গুলিতে অব্যবস্থার চিত্র প্রায়শই ফুটে ওঠে সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন যে তেমন হয়নি তা ফের দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।