Rail Passengers: মৃতদেহের সঙ্গে বসেই যেতে হল ৬০০ কিলোমিটার, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা যাত্রীদের
Indian Railway: রেল যাত্রীদের দাবি, নাগপুরে বিষয়টা জানানো হয়েছিল প্রথমেই। পরে রাত পোহালে ট্রেন যখন ভোপালে পৌঁছয় তখন আবারও বিষয়টা জানানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও বারই সাড়া মেলেনি।
নয়া দিল্লি: দূরপাল্লার ট্রেন। রাতে খাওয়া-ঘুমনোর আয়োজন করতে যখন সবাই ব্যস্ত তখনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল রেলের কামরা। অসুস্থ যুবকের মৃত্যু হল ট্রেনের মধ্যেই। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পৌঁছে দিলেও শেষ সরানোই হল না দেহ। গোটা পথ ওইভাবেই পড়ে রইল মৃত যুবকের দেহ। তার পাশে বসেই দিন-রাত কাটাতে হল যাত্রীদের। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন তামিলনাড়ু সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস-এ যাত্রীরা।
চেন্নাই থেকে হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। রেলযাত্রীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষকে বারবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে পৌঁছনোর পরই দেহ সরানো হয়েছে। রেল পুলিশ ওই দেহ নিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
জানা গিয়েছে, রামজিৎ যাদব নামে ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি কর্মসূত্রে চেন্নাইতে থাকতেন। তিনি উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার বাসিন্দা। তিনি অসুস্থ ছিলেন, তাই আত্মীয়ের সঙ্গে ফিরছিলেন বান্দার বাড়িতে। রবিবার আচমকাই রামজিতের স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হতে শুরু করে। নাগপুরে ট্রেন পৌঁছনোর পর ট্রেনের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। তাঁর আত্মীয়ের অভিযোগ, সাহায্য চেয়েও পাননি তিনি।
ফলে ট্রেনের নির্দিষ্ট আসনেই রামজিতের দেহ নিয়ে যেতে হয় গোটা পথ। আর সেই দেহের পাশে বসে যেতে হয় সহযাত্রীদের। রেল যাত্রীদের দাবি, নাগপুরে বিষয়টা জানানো হয়েছিল প্রথমেই। পরে রাত পোহালে ট্রেন যখন ভোপালে পৌঁছয় তখন আবারও বিষয়টা জানানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও বারই সাড়া মেলেনি, বলে জানাচ্ছেন যাত্রীরা।