SIR in Bengal: অভিষেক ‘স্যর’-এর পাঠশালা শেষ হতেই ময়দানে ‘লাস্ট বয়’ ববি, গেলেন একের পর এক ওয়ার রুমে
Abhishek Banerjee: সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই 'রেজাল্ট' নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপরেই বেড়েছে সক্রিয়তা। বৃহস্পতিবার এসআইআর প্রক্রিয়ার অবস্থা খতিয়ে দেখতে পথে নামেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘুরে দেখেন একাধিক ওয়ার রুম।

কলকাতা: অভিষেক ‘স্যর’-এর পাঠশালায় পারফরমেন্স নিয়ে ক্ষোভ। ‘লাস্ট বয়’ হয়েছিলেন ববি। কিন্তু ভুল তো শোধরানোর জন্যই। সোমে বৈঠক। বৃহস্পতিতে ওয়ার রুমে ববি। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের খাতা অনুযায়ী, ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজে বিএলএ সক্রিয়তা এবং এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ার নিরিখে সবচেয়ে পিছিয়ে রাজ্য়ের আটটি বিধানসভা। যার মধ্য়ে ছ’টি রয়েছে কলকাতায়। তিনটি বিধানসভা আবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর। বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম এবং মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ।
সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই ‘রেজাল্ট’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপরেই বেড়েছে সক্রিয়তা। বৃহস্পতিবার এসআইআর প্রক্রিয়ার অবস্থা খতিয়ে দেখতে পথে নামেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘুরে দেখেন একাধিক ওয়ার রুম।
এদিন সবার প্রথমেই এন্টালি বিধানসভার অন্তর্গত ৫৮নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহার এসআইআর ওয়ার রুমে পৌঁছে যান ফিরহাদ। তারপর সেখান থেকে চলে যান বেলেঘাটা বিধানসভার অন্তর্গত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের ওয়ার রুমে। মূলত, এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়া, এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করছেন কি না এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন তিনি।
উল্লেখ্য, এসআইআর প্রক্রিয়ায় কলকাতা শহরের যাবতীয় দায়িত্ব পেয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, ‘এন্টালিতে সবই ঠিক রয়েছে। এখানেও ওয়ার রুমে বসে সবটা খতিয়ে দেখেছি। দলের কর্মীরা দিনরাত কাজ করছেন। বিজেপি যাতে এসআইআর-এর মাধ্যমে ভোট হরণ না করতে পারে, সেই দিকটাই আমরা লক্ষ্য রাখছি।’
ফিরহাদ ‘ভাল কাজ’ হচ্ছে বললেও, দলের অন্দরে কিন্তু ভাসছে অন্য বার্তা। সূত্রের খবর, শহরে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট ভাল নয়। যে কারণে একাধিক প্রথম সারির নেতার উপরেই ঝুলছে খাঁড়া। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিটি বিধানসভা ঘুরে-ঘুরে এখন যাচাই করতে নামতে হয়েছে মেয়রকে। কলকাতা থেকেই সবচেয়ে বেশি নাম বাদ যেতে পারে বলে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
