AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: কল্যাণ ‘ভুল হয়েছে’ বলতেই বিচারপতি বললেন, ‘এত গুরুতর ভুলের পরও আপনাদের অফিসারদের চাকরি কীভাবে থাকে?’

সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় অযোগ্যরা। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। কোর্ট একক বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের রায়কেই বহাল রাখে।

Calcutta High Court: কল্যাণ 'ভুল হয়েছে' বলতেই বিচারপতি বললেন, 'এত গুরুতর ভুলের পরও আপনাদের অফিসারদের চাকরি কীভাবে থাকে?'
কলকাতা হাইকোর্টে কল্যাণImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2025 | 2:38 PM
Share

কলকাতা: ফের অযোগ্যদের মামলা বাতিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। নতুন পরীক্ষায় দাগিরা যাতে বসার সুযোগ পায় সেই নিয়ে মামলা হয়েছিল। তবে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় অযোগ্যরা। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। কোর্ট একক বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের রায়কেই বহাল রাখে।

বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী (SSC-র উদ্দেশে): আপনাদের অফিসাররা কেন কাঠগড়ায় উঠবেন না? কেন আপনাদের অফিসারদের চাকরি যাবে না? এত-এত ছেলেমেয়ের চাকরি যাচ্ছে, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে দাগিদের কোনও ভাবেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া যাবে না, সেখানে কী করে SSC তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড দিল?

আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (SSC-র আইনজীবী): এত লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে কে অযোগ্য আর কে নয় এটা বাছাই করা যায়নি। তাই দিতে হয়েছে। ওটা ভুল হয়েছে।

বিচারপতি: আপনাদের অফিসাররা এত গুরুতর ভুল কী করে করেন? তারপরেও তাঁদের চাকরি কী করে যায় না?

আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়: তাহলে সব দাগিদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়ে দিন।

বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী: এই মামলায় তাহলে আমরা রেকর্ড করছি, এসএসসির কনসেন্ট নিয়ে আমরা পরীক্ষায় বসতে দিচ্ছি?

আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়: নাহ আমাদের সায় নেই

এরপর মামলাকারীদের আইনজীবীরা অনিন্দ্য লাহিড়ী, সুবির স্যানাল সৌম্য মজুমদাররা আগের একাধিক রায়ের পর্যবেক্ষণে দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে আদালতের অবস্থান বোঝানোর চেষ্টা করেন। এরপরই বিরক্ত আদালতের বক্তব্য, এখানে এত বোঝানোর কোনও সুযোগ নেই। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট গোটা ব্যাপারটায় নজরদারি করছে, দাগিদের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে, সেখানে এই ভাবে আবেদন করলেও অন্য কিছু ভাবতে বা বলতে পারা যায় না। সেই সুযোগ নেই। বোঝাতে হলে শীর্ষ আদালত যেতে হবে। এরপর ডিভিশন বেঞ্চ ৩৫০ আবেদন খারিজ করে। তবে বাকি তিনটে নতুন আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।