BJP: আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ক্যাম্প, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ কাকুঁড়গাছিতে
BJP: বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা টেবিল চেয়ার পেতে শিবির খুলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কাজ করছিলেন। অভিযোগ, সেখানে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা আচমকাই হামলা করে। টেবিল চেয়ার ভেঙে ফেলার পাশাপাশি বিজেপি কর্মী, এমনকী শিবিরে আসা সাধারণ মানুষের গায়েও হাত তোলার অভিযোগ তোলে বিজেপি নেতৃত্ব।
কলকাতা: শহরের বুকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ছাড় পেলেন না মহিলারাও। অভিযোগের তির তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের দিকে। কলকাতা পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কাঁকুড়গাছি মোড় সংলগ্ন পূর্বাশা আবাসনের সামনে সোমবার বিজেপির তরফে একটি শিবির খোলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কার্ড তৈরির কাজ ও ফর্ম বিলির কাজ চলছিল সেই শিবির থেকে।
বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা টেবিল চেয়ার পেতে শিবির খুলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কাজ করছিলেন। অভিযোগ, সেখানে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা আচমকাই হামলা করে। টেবিল চেয়ার ভেঙে ফেলার পাশাপাশি বিজেপি কর্মী, এমনকী শিবিরে আসা সাধারণ মানুষের গায়েও হাত তোলার অভিযোগ তোলে বিজেপি নেতৃত্ব।
এরপরই বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির আক্রান্ত কর্মীরা এবং জেলার কর্মী-সমর্থকরা এসে মানিকতলা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। ওই শিবিরে পুলিশ মোতায়ন থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপির জেলা সভাপতি। পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল এমনও দাবি করেন তিনি। যদিও মানিকতলা থানার তরফে জানানো হয়েছে, কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই এই শিবির চলছিল। পুলিশকে জানানো উচিত ছিল আগে থেকেই। অভিযোগ পেয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।
বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, “সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ক্যাম্পে এসেছিলেন। তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। বিজেপির কর্মীদের উপরও হাত তুলেছে। তৃণমূলের লোকজন এসব করেছে। পুলিশের সামনে সবটা হয়েছে, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয়। আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ। ওরা কী করছিল? তৃণমূলের লোকেরা এসে আয়ুষ্মান ভারতের ক্যাম্প আটকাচ্ছে আর পুলিশ চুপচাপ, এটা তো লজ্জার।”
এলাকা তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুন্ডু বলেন, “আমাদের এলাকায় কোনও বিজেপি কর্মী রয়েছে বলেই আমি জানি না। গত পুরসভা ভোটে জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। আর এখানে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড হবে কেন? কোনও হাসপাতাল তালিকাভূক্ত নয়। সেখানে আমাদের দলের কোনও কর্মী এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তৃণমূল এই ধরনের আচরণ করে না।”