Anantnag: অনন্তনাগে অভিযানের সময়ে শহিদ বাংলার দুই জওয়ান, বরফের মধ্যে উদ্ধার দেহ
Anantna: ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, তুষার ঝড় উঠেছিল। পরিস্থিতির মাঝে নিখোঁজ হয়ে যান দুই জওয়ান। এরপর সেনার তরফে তল্লাশি শুরু হয়। বরফের ভিতর থেকে দুই জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে তাঁরা কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। তাঁদের বীরত্বকে কুর্নিশ জানাচ্ছে ভারতীয় সেনা।

কলকাতা: জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগ অভিযানের সময়ে শহিদ ভারতীয় সেনার দুই প্যারা কমান্ডো। অভিযানের সময়ে শহিদ হন ল্যান্সনায়েক সুজয় ঘোষ ও হাবিলদার পলাশ ঘোষ। জানা গিয়েছে, একজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়, অপরজনের বাড়ি বীরভূম। অন্ততনাগে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চলছিল। অভিযানের সময়ে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান এই দুই জওয়ান।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, তুষার ঝড় উঠেছিল। পরিস্থিতির মাঝে নিখোঁজ হয়ে যান দুই জওয়ান। এরপর সেনার তরফে তল্লাশি শুরু হয়। বরফের ভিতর থেকে দুই জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে তাঁরা কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। তাঁদের বীরত্বকে কুর্নিশ জানাচ্ছে ভারতীয় সেনা।
২৪-৩৬ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয় বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর। প্রতিকূলতার কারণে উদ্ধারকার্যেও বেগ পেতে হচ্ছিল সেনাকে। ইতিমধ্যেই দুই জওয়ানের পরিবারে সে খবর এসে পৌঁছেছে। সসম্মানে দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেবে সেনা।
ল্যান্সনায়েক সুজয় ঘোষের পরিবারের এক সদস্য জানান, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয়েছিল, সুজয়ের আঘাত লেগেছে, তিনি আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর দাদা বলেন, “যখন খবর আসে, আমি তখন ব্যাঙ্কে ছিলাম। তাড়াতাড়ি বাড়ি এসে বাবাকে বললাম। বললাম ভাইয়ের চোট লেগেছে। তার এক দেড় ঘণ্টা পর আবারও ফোন আসে। অফিসার ফোন করেন। বললেন, সুজয় আর নেই।”
জওয়ানের এক বন্ধ বললেন, “আমরা ছোটবেলায় এক স্কুলেই পড়েছি। সেই স্কুলে পড়ার সময় থেকেই বলত, ও সেনায় যোগ দেবে। এই তো কিছু দিন আগেই কথা হল, বলল পদোন্নতির চেষ্টা করছে। জীবনের লক্ষ্য অনেক বড় ছিল।” কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে দুই জওয়ান কীভাবে অভিযানের সময়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, সেটাও সেনার তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
