Babul Supriyo: স্পিকারের ‘না’, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারলেন না বাবুল!

Babul Supriyo: বৃহস্পতিবারও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) অফিস থেকে বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) সময় পেলেন না। দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেও ইস্তফা দেওয়া হচ্ছে না আসানসোলের বিজেপি সাংসদের।

Babul Supriyo: স্পিকারের 'না', সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারলেন না বাবুল!
ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন বাবুল সুপ্রিয় (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 10:22 PM

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবারও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) অফিস থেকে বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) সময় পেলেন না। দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেও ইস্তফা দেওয়া হচ্ছে না আসানসোলের বিজেপি সাংসদের। এদিন লোকসভার স্পিকারের অফিস বাবুলকে সময় দিতে পারছে না বলে জানায়। ফলত এনিয়ে দুদিন বাবুল স্পিকার অফিসকে ইস্তফাপত্র জমা দিতে চাইলে, ‘না’ বলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ব্যস্ততার কারণে বাবুলকে সময় দিতে পারছেন না স্পিকার।

গত শনিবার তৃণমূলে (TMC) -তে যোগ দেওয়ার পর বিজেপি সংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শুধু ইস্তফা দেওয়ার জন্যই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন তিনি। সংসদ পদ থেকে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন বলে স্পিকার ওম বিড়লার থেকে সময় চান তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবারও স্পিকারের অফিস থেকে সময় পেলেন না তিনি। এনিয়ে দু’দিন বাবুল স্পিকারের অফিসকে ইস্তফাপত্র জমা দিতে চাইলে ‘না’ বলে দেওয়া হয়।

গত শনিবার তৃণমূলে যোগদানের পর বাবুল বলেছিলেন সাংসদ পদ ছাড়বেন তিনি। তবে প্রথমবার স্পিকারের থেকে সময় না পাওয়ার জন্য ইস্তফা দিতে পারেননি বাবুল। এরপর নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে বাবুল জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। সেদিন স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের। কিন্তু টুইটে বাবুল লেখেন, ‌আজ দিল্লিতে নেই স্পিকার। আর তাই বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি। কিন্তু এদিনও স্পিকারের অফিসের কাছ থেকে সময় পেলেন না বাবুল।

উল্লেখ্য, বুধবার টুইটারে এক নেটিজেনের টুইট রিটুইট করে বাবুল লেখেন, স্পিকার শহরে নেই। তিনি হয়ত বৃহস্পতিবার তাঁকে সময় দেবেন। আর এর প্রেক্ষিতে ফের একবার প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেন বাবুল। কটাক্ষের সুরে লেখেন, দুঃখজনকভাবে দিলীপ ঘোষ ইংরেজিতে সড়গড় নন। তবে ইংরেজি না জানাও কোনও অপরাধ নয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই বিজেপি ছেড়ে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন না তিনি। কিন্তু গত শনিবারই শিবির বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেন বাবুল। তাঁর এই পদক্ষেপে কার্যত অবাকই হয়েছিল বিজেপি শিবির। যদিও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কমে যাওয়ার অব্যবহিত পর বাবুলের তৃণমূলে যোগদানকে ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। একটা সূত্রের খবর, কেউ কেউ হয়ত জানতেন যে বিজেপি ছাড়ছেন বাবুল।

এদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই বিজেপি-থেকে তীব্র কটাক্ষ শানানো হয়েছে একসময় দলবদলের রাজনীতির সমালোচনা করা বাবুলকে। বাবুল অবশ্য জানিয়েছিলেন শীঘ্রই তিনি বিজেপি সাংসদ পদও ছাড়বেন। আর সেই মতোই এবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে দিল্লি গিয়েছেন তিনি।

তৃণমূলে যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বাবুল বলেছিলেন, ‘আমি রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকার লোক নই। যে দল খেলাবে সেই দলেই খেলব। দিদি ও অভিষেক আমাকে বড় সুযোগ দিয়েছেন। বিজেপিতে কাজ করতে পারছিলাম না। আমি খুশি, তৃণমূল আমার ওপর ভরসা করেছে।’

আরও পড়ুন: Babul Supriyo: স্পিকারের ‘না’, সংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারছেন না বাবুল!