Bank Fraud: ১৪ দফায় ১ লক্ষ! গড়িয়ার গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ‘টাকা সরান’ খেজুরির ব্যাঙ্ক কর্মী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বড় চক্রের পর্দাফাঁস

Bank Fraud: আরও বিস্ফোরক দাবি করেন তনুশ্রী। তাঁর বক্তব্য, এই বিষয়টি জানার পরই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। যাতে তিনি এই ঘটনা কাউকে না জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের না করেন, তার জন্য অনুরোধ করা হয়।

Bank Fraud: ১৪ দফায় ১ লক্ষ! গড়িয়ার গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে 'টাকা সরান' খেজুরির ব্যাঙ্ক কর্মী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বড় চক্রের পর্দাফাঁস
বাঁ দিকে অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মী, ডান দিকে গ্রাহক Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2024 | 1:51 PM

কলকাতা: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকের প্রায় ১ লক্ষ টাকা ‘উধাও’। ঘটনায় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরই জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গড়িয়ার শ্রীনগর শাখার ঘটনা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মীকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গ্রাহক তনুশ্রী দাসের অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেরই খেজুরি শাখার এক কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। অভিযোগ, সেই ব্যাঙ্কের কর্মীর নাম বিনয় দাস। বিষয়টি ধরে ফেলতেই তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। আর তারপরই টাকা ফেরত দিতে সটান গ্রাহকের বাড়িতে উপস্থিত ব্যাঙ্ক কর্মী। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আপোসে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে অভিযোগ।

বিষয়টা ঠিক কী ঘটেছিল? 

গ্রাহক তনুশ্রী দাস বলেন, “১৬ তারিখ আমার ফোনে একটা মেসেজ ঢোকে। দেখাচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ টাকা উঠেছে। কিন্তু আমি কাউকেই সেই টাকা ট্রান্সফার করিনি। আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে যাই। তারপর দেখতে পাই, মোটামুটি লাখ খানেক টাকা এইভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে। ”

আরও বিস্ফোরক দাবি করেন তনুশ্রী। তাঁর বক্তব্য, এই বিষয়টি জানার পরই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। যাতে তিনি এই ঘটনা কাউকে না জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের না করেন, তার জন্য অনুরোধ করা হয়। খোঁজ নিয়ে তনুশ্রী জানতে পারেন, বিনয় দাস নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেই টাকা ট্রান্সফার হয়েছে।

এরপর আবার চাপে পড়ে টাকা ফেরত দিতে তনুশ্রীর বাড়িতেই পৌঁছে যান ব্যাঙ্ক কর্মী বিনয় দাস। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার দ্বারা যে আনঅথোরাইজড ট্রান্সফার হয়েছিল, সেটা ফেরত দিতে এসেছি। ভুল করে হয়ে গিয়েছিল।” কিন্তু কেন এই ভুল, কীভাবে এত বড় বড় ভুল বারবার হয়েছে, তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যাঙ্ক কর্মী। তিনি স্বীকার করেছেন, ১৪ দফায় তনুশ্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা সরিয়েছেন তিনি।

এবিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের খেজুরি শাখার ম্যানেজার গোপাল সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছি।” শুধু এটুকুই বলেছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। তারপর ফোন কেটে দেন। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ, তিনিই নাকি বিষয়টি আপোসে মিটিয়ে নেওয়ার কথা গ্রাহককে বলেছেন। আপাতত ওই ব্যাঙ্ক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।