TMC Councillor: সোনার দোকানের কারিগর থেকে তৃণমূল কাউন্সিলর, রকেটগতিতে উত্থান মিলনের
CID: সিআইডি সূত্রে খবর, আগে দু'বার অপহরণকারীদের সবরকম ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন মিলন। বারাসতে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এবার এবং আগের দু'বারও অপহরণকারীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। তিনবার তিনটি পৃথক ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করেন মিলন সর্দার। পরিচিত লোক থাকবে বলে বাড়ি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেন মিলন বলে খবর।
দীপঙ্কর দাস ও সুজয় পালের রিপোর্ট
কলকাতা: তৃণমূল কাউন্সিলরের গ্রেফতারির পর নতুন তথ্য উঠে আসছে। সিআইডি সূত্রে খবর, ব্যবসায়ী অপহরণে আগেও যোগ ছিল তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দারের। আগে একই অপহরণকারীদের দল ওই ব্যবসায়ীকে দু’বার অপহরণ করে বলে খবর। সেই দু’বারও অপহরণের কথা জানতেন মিলন, দাবি সূত্রের।
সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে বারাসত পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন মিলন সর্দার। তার আগে সোনার দোকানের কারিগর ছিলেন তিনি। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকেই ভোল বদলে যেতে শুরু করে মিলনের। ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়াকে কেন্দ্র করে মিলন বহু টাকা নয়ছয় করেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
এলাকার লোকজন তাঁর বাড়িও ঘেরাও করেন। এলাকা সূত্রে খবর, বাড়ি দেওয়ার নাম করে যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, পরে বেশ কয়েকজনকে সেই টাকা ফেরানও। মিলনের বিরুদ্ধে একাধিক পুকুর ভরাটেরও অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। নগদে প্রচুর জমি কিনেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
সিআইডি সূত্রে খবর, আগে দু’বার অপহরণকারীদের সবরকম ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন মিলন। বারাসতে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এবার এবং আগের দু’বারও অপহরণকারীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। তিনবার তিনটি পৃথক ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করেন মিলন সর্দার। পরিচিত লোক থাকবে বলে বাড়ি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেন মিলন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ধৃত ছ’জন অভিযুক্তর থেকেই কাউন্সিলরের নাম আসে। মিলনের কাছে অপহরণের টাকা গিয়েছে বলে মনে করছে সিআইডি। কোথায় সেই টাকা, ধৃত কাউন্সিলরকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে সিআইডি। খড়দহ থানার অপহরণের মামলায় মিলনকে শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।